• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


লকডাউনে বিপাকে পড়েছে রিক্সা ভ্যান চালকরা

হিলি থেকে | প্রকাশিত: ২৩ এপ্রিল ২০২১, ০৪:১৬

লকডাউনে বিপাকে পড়েছে রিক্সা ভ্যান চালকরা

সারাদেশে করোনাভাইরাস এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন চলছে। আর এই লকডাউনে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের রিক্সা ও চালকরা। সড়কে যাত্রী পাচ্ছেন না। সারাদিন যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চালানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর এলাকার মহিলা কলেজ মোড়, রাজধানী মোড়, চুড়িপট্টি, শান্তি মোড়, বাসস্ট্যান্ড, চারমাথা মোড়, হাসপাতাল গেট, ও সিপি এলাকা সহ হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে লকডাউনের কারণে খালি রিক্সা,ও ভ্যান নিয়ে বসে আছেন অনেকেই। কেউ, কেউ চাতক পাখির মতো চেয়ে আছে, আবার অনেকেই হেন্ডেল ধরে যাত্রীর জন‌্য অপেক্ষা করছেন।

চলার পথে কথা হয় বসে থাকা এক রিক্সা চালক রাশেদ মিয়ার সাথে। রাশেদ মিয়া বলেন, খুব চিন্তা ও মনে খুব কষ্ট নিয়ে বসে আছি ভাই। একে তো রমজান মাস তারপর আবার লকডাউন সারাদিন রিক্সা চালিয়ে কামাই হচ্ছে ১২০থেকে ১৫০ টাকার মতো। বাড়িতে আমরা স্বামী স্ত্রীসহ সাত জন সদস্য। এই অল্প কামাইে কি ভাবে সংসার চালাবো ভেবে পাচ্ছি না। শুধু আমি নয় ভাই, আমারা চালকরা সবাই খুব কষ্টে আছি। সকাল থেকে হিলি স্থলবন্দরের বিভিন্ন রাস্তা, মোড় ও বাজারে ঘুরতে থাকি। একবার যাত্রী উঠলে আবার আধা ঘণ্টা এক ঘণ্টা পর যাত্রী মিলে। কামাই না হলে খাবো কি?

কথা হয় আর একজন ভ্যান চালক নিরমল রবি দাসের সাথে। নিরমল বলেন, ভাই পেট তো আর লকডাউন মানে না। তাই বাড়িতে বসে থেকে কি করব? করোনার ভয় ডর না করে রাস্তায় ভ্যান চালাচ্ছি সৃষ্টি কর্তা যা করে! সংসারের অভাব দেখে ভালো লাগে না।

রিক্সা চালক এমদাদ হোসেন বলেন, গরিব মানুষ কি করব? সংসারে ছেলে মেয়ে নিয়ে খুব বিপাকে পড়েছি ভাই। যারা ধনী মানুষ তাদের কোনো অভাব নাই, চিন্তাও নাই। যত অভাব আর চিন্তা সব আমাদের। নুন আনতে পান্তা ফুরাায় আমাদের সংসারে। এখন রমজান মাস আর লকডাউনে যাত্রীর যে অবস্থা, সারাদিনে যা কামাই তা দিয়ে দেড় থেকে দুই কেজি চাল হবে হয়তো। সংসারের আর চাহিদা কি দিয়ে মিটাবো? আমরা সরকারের কোন অনুদানও পাচ্ছি না।

রিক্সা ভ্যান চালকদের সরকারি কোনো ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্দ আছে কি না জানতে চাইলে, হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর-এ আলম বলেন, এখন পর্যন্ত আমার উপজেলায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এর সরকারি কোনো ত্রাণ সামগ্রী আসেনি। তবে ত্রাণ সামগ্রী আসলে তাদের অবশ‌্যই দেওয়া হবে।

এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top