জুলাই পদযাত্রায় রক্ত আর প্রতিরোধ—গণতন্ত্রের পথ আরও কঠিন হয়ে উঠছে
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০২৫, ১৭:২০

১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে ভয়াবহ সংঘর্ষ ও সহিংসতা—নিহত হয়েছেন অন্তত ৪ জন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯ জন গুলিবিদ্ধ।
সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল পরিবেশ। মাসব্যাপী জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচির অংশ হিসেবে গোপালগঞ্জে বড় সমাবেশ আয়োজন করে এনসিপি। কিন্তু সমাবেশের আগেই উত্তেজনা ছড়ায়, যখন উলপুর এলাকায় পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এরপর দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে শহরের পৌরপার্ক এলাকায় সমাবেশস্থলের মঞ্চেই হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর করা হয় চেয়ার, মাইক, সাউন্ড সিস্টেম। আহত হন বহু কর্মী-সমর্থক।
হামলার চূড়ান্ত রূপ নেয় বিকেল ৩টার দিকে, যখন সমাবেশ শেষে শহর ছাড়ার পথে লঞ্চঘাট এলাকায় এনসিপি নেতাদের গাড়িবহর লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইটপাটকেল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ চালায় ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল।
গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ৪ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২ জনের পরিচয় মিলেছে—উদয়ন রোডের দীপ্ত সাহা (২৫) ও কোটালীপাড়ার রমজান কাজী (১৮)। বাকি দুজনের পরিচয় এখনো অজ্ঞাত। আহত ৯ জনের শরীরে গুলির ক্ষত, চলছে অস্ত্রোপচার।
পুলিশ জানিয়েছে, হামলার পেছনে কারা জড়িত—তা এখনো নিশ্চিত নয়। তদন্ত শুরু হয়েছে। হামলা থেকে বাঁচাতে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের আশ্রয় নিতে হয় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে।
বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে পুলিশ পাহারায় নেতারা শহর ত্যাগ করেন। জুলাই পদযাত্রার পরবর্তী গন্তব্য—খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় গাড়িবহর। রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন ঘুরছে একটাই প্রশ্ন—এটা কি নিছক সহিংসতা, নাকি পরিকল্পিত আক্রমণ? জুলাই পদযাত্রা যেমন অগ্রসর হচ্ছে, তেমনই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে দেশের রাজনীতি।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।