• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


সাতক্ষীরায় করোনা উপসর্গ নিয়ে ৪ জনের মৃত্যু

সাতক্ষীরা থেকে | প্রকাশিত: ১৬ জুন ২০২১, ২০:৩১

সাতক্ষীরায় করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে

সাতক্ষীরায় করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। একদিনে করোনার উপসর্গ নিয়ে আরো চার জন মারা গেছেন। এরমধ্যে তিন জন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও একজন বেসরকারি হাসপাতালে (ন্যাশনাল হাসপাতালে)। এছাড়া জেলায় ১৮৮ জনের করোনা পরীক্ষা শেষে একশ’ জন পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। যার সংক্রমণের হার ৫৩ শতাংশ।

এদিকে, জেলা শহর ও গ্রাম অঞ্চলে ঘরে ঘরে সর্দি, কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভুগছেন অধিকাংশ মানুষ। জেলার একমাত্র করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫০ টি বেড থাকলেও সেখানে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ১৬৫ জন। বেড না পেয়ে অনেকেই সেখান থেকে অন্যত্র গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদিকে, চলমান লকডাউনে তেমন কোন সফলতা না পাওয়ায় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ না হয়ে আরো বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করছেন সুশীল সমাজ।

গত ৫ জুন থেকে চলমান দুই সপ্তাহব্যাপী লকডাউনে নানা অজুহাতে মানুষ শহরমুখী হচ্ছে। হাটে বাজারে এমনকি হাসপাতাল ক্লিনিকে কেউই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছে না। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারের লোকজনও স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করায় কোনো ভাবেই সংক্রমণ প্রতিরোধ হচ্ছে না। লকডাউনের মধ্যে এভাবে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে থাকলে এক হাজার বেডের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল করা হলেও রোগীর জায়গা দেয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন মেডিকেল কলেজের একজন চিকিৎসক। এমনিতেই রুগীদের চাপ সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছেন ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীরা।

দেড় শ’ বেড থেকে ১৬৫ বেডে উন্নীত করে করোনা রোগী ভর্তি করা হয়েছে উল্লেখ করে করোনা ডেডিকেটেড এই হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ কুদরত-ই-খুদা জানালেন, রোগীর চাপ থাকলেও দুইশ’ বেডের বেশি উন্নীত করা যাবে না। সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন শাফায়ত জানান, জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে একদিনে ৪ জন মারা গেছেন।

এ নিয়ে ভাইরাসটির উপসর্গ নিয়ে এ পর্যন্ত মারা গেল মোট ২৫২ জন। আর করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৫৫ জন। এ নিয়ে, জেলায় এ পর্যন্ত দুই হাজার ৬১১ জন করোনা পজেটিভ শনাক্ত হলো। আর বর্তমানে ৪৮ জন পজেটিভ রোগীসহ ২৯১ জন করোনা উপসর্গ নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি রয়েছেন।

এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top