উদ্বেগ বিজিএমইএর
১ বছরে ২৫৮টি রফতানিমুখী পোশাক কারখানা বন্ধ
স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা | প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:১৩
দেশের রফতানি আয় ও শিল্পখাতে অস্থিরতা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। সংগঠনটির তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে দেশে ২৫৮টি রফতানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ ভবনে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংগঠনের সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু।
তিনি বলেন,
“অস্থির শ্রম আন্দোলন, বাড়তি উৎপাদন ব্যয় এবং নীতিগত অনিশ্চয়তা শিল্পখাতকে চাপে ফেলেছে। ফলে ২৫৮টি পোশাক কারখানা বন্ধ হতে বাধ্য হয়েছে।”
শ্রমিক অধিকার নিশ্চিতের নামে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, তার কার্যকারিতা না ভেবে সিদ্ধান্তে শিল্পে অস্থিতিশীলতা তৈরি হচ্ছে বলেও অভিযোগ বিজিএমইএর।
“মাত্র ২০ জন শ্রমিক দিয়ে ট্রেড ইউনিয়ন করার সুযোগ অযৌক্তিক। এতে শিল্পে অব্যাহত অস্থিরতা ও বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।” — বলেন বিজিএমইএ সভাপতি।
২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের পথে। তবে বিজিএমইএ মনে করে— জ্বালানি সরবরাহ ও ব্যবসা-সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিতের আগেই এ উত্তরণ হলে দেশ পিছিয়ে পড়বে।
“প্রস্তুতি ছাড়া এলডিসি গ্রাজুয়েশন হলে বিনিয়োগ কমবে, রফতানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।” — সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
৪১ শতাংশ মাশুল বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে শিল্পবিরোধী বলে দাবি করেছে বিজিএমইএ।
“বন্দরের সক্ষমতা না বাড়িয়ে এমন বিশাল মাশুল বৃদ্ধি রফতানি বাণিজ্যে বিপর্যয় ডেকে আনবে।”
দেশীয় উদ্যোক্তাদের মতামত অগ্রাহ্য করে বিদেশি চাপের মুখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়।
বাবু বলেন,
“বিদেশিদের পরামর্শে চললে রফতানি বাণিজ্যের ক্ষতির দায় সরকারকেই নিতে হবে।”
ব্যবসায়ীদের দাবি
-
নীতিমালা প্রণয়নে শিল্প নেতাদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া
-
মাশুল বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা
-
শ্রম আইন সংশোধনে ভারসাম্য রক্ষা
-
স্থিতিশীল ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত
শিল্প মালিকদের মতে, এসব দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে কর্মী ছাঁটাই ও কারখানা বন্ধের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।