বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম পতনের ধাক্কা, দেশের বাজারেও প্রভাব
নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:০৫
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম নতুন করে কমতে শুরু করেছে। সোমবার সোনার দাম ৩ শতাংশের বেশি কমার পর মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কের বাজারে আউন্সপ্রতি দাম আরও ০.৩৩ শতাংশ লঘু হয়ে ৩,৯৯০ ডলারে নেমেছে।
গোল্ড প্রাইস ডট অর্গের তথ্যানুসারে, গত এক সপ্তাহে স্বর্ণের দাম ৮ শতাংশের বেশি কমেছে, যা ২০১৩ সালের পর সবচেয়ে বড় সাপ্তাহিক পতন। চলতি বছরের শুরুতে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ঊর্ধ্বগতি দেখা গেলেও, বছরের শেষভাগে সেই প্রবণতা থেমে গেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মার্কিন ডলারের শক্তিশালী হওয়া, যুক্তরাষ্ট্র–চীন বাণিজ্য উত্তেজনার প্রশমিত হওয়া এবং বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তোলার কারণে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের চাহিদা কমেছে। এছাড়া, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসার ফলে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার ও বন্ডের দিকে ঝুঁকছেন।
প্রযুক্তিগত কারণে দামের পতন আরও ত্বরান্বিত হচ্ছে। ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের উদ্ধৃতি অনুযায়ী, স্বর্ণের ‘নিরাপদ মূল্য’ প্রতি আউন্সে ৪,০০০–৪,০৫০ ডলার। এই সীমার নিচে নেমে গেলে ৩,৭০০–৩,৫০০ ডলারের দিকে আরও বড় পতনের সম্ভাবনা আছে।
দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকারীরা এখনো সতর্ক আশাবাদী। তাদের মতে, বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা, ২০২৬ সালে সুদহার হ্রাসের সম্ভাবনা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ধারাবাহিক স্বর্ণ ক্রয় সোনার বাজারকে স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করবে।
বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে স্বর্ণের দাম পুনরায় বেড়ে আউন্সপ্রতি ৪,৪০০ ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে।
দেশের বাজারেও আন্তর্জাতিক দর অনুযায়ী স্বর্ণের দাম ওঠানামা করছে। ২২ অক্টোবর দেশের বাজারে স্বর্ণের দামও কমানো হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করাচ্ছেন, টানা কয়েক মাসের উচ্ছ্বাসের পর এখন সোনার বাজার আপাতত স্থিতিশীলতার পথে রয়েছে, তবে নতুন ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা বা মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির আশঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা আবারও নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে স্বর্ণের দিকে ফিরে যেতে পারেন।
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।