বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

নকশা পরিবর্তন, ব্যয় বাড়ছে ১০ হাজার কোটি টাকা

নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:১৬

নকশা পরিবর্তন, ব্যয় বাড়ছে ১০ হাজার কোটি টাকা । ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে প্রকল্প ব্যয় আরও ১০ হাজার কোটি টাকা বাড়তে যাচ্ছে। নকশা পরিবর্তন, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, নির্মাণসামগ্রীর দাম বৃদ্ধি ও নতুন শুল্ক আরোপের কারণে বাংলাদেশের সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ) এ ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব তৈরি করেছে।

এর ফলে সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পটি বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকায়। বাড়তি ব্যয়ের বিষয়টি ঋণদাতা চীনের এক্সিম ব্যাংক নীতিগতভাবে সম্মতি দিলেও চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাবটি একনেকে পাঠাতে হবে।

  • তুরাগ নদকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করায় সেতুর উচ্চতা বাড়াতে হয়েছে

  • খুঁটি থেকে খুঁটির দূরত্ব ৩০.৪৮ মিটার থেকে বাড়িয়ে ৯০ মিটার করা হচ্ছে

  • সেতুর তলদেশের উচ্চতা ৭.৬ মিটার থেকে বাড়িয়ে ১২.২ মিটার

  • নতুন সেতু ও ইন্টারসেকশন যুক্ত হচ্ছে

  • মেট্রোরেলের সঙ্গে নতুন ইন্টারফেস ডিজাইন

  • ডলার ৮৪ টাকা থেকে বেড়ে ১২০ টাকা

  • নির্মাণসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি

  • কর–শুল্কসহ অন্যান্য খাতে ব্যয় প্রায় ৬,০০০+ কোটি টাকা বাড়ছে

চীনের এক্সিম ব্যাংক প্রকল্পে ৯,৬৯২ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার কথা থাকলেও এখনো অর্থ ছাড় হয়নি। ব্যয় বৃদ্ধি কীভাবে পিপিপি মডেলের আওতায় সমন্বয় করা হবে—এ নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। আশুলিয়ার বাইপাইলে নতুন সেতু, যানবাহনের সুবিধার্থে নতুন ইন্টারসেকশন,বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল–সংযুক্ত মেট্রোরেল স্টপেজ, কাঞ্চন–কমলাপুর রুটে মেট্রোরেল স্টপেজ সংযোগ

প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৬৪.৫০%, ভৌত অগ্রগতি ৫৬.৫০%। খুঁটি, গার্ডার ও ডেক স্ল্যাবের উল্লেখযোগ্য অংশের কাজ শেষ হয়েছে।

প্রকল্পটি ২০১৭ সালে অনুমোদিত হয়। প্রথম খুঁটি নির্মাণ শুরু হয় ২০২৩ সালে। বর্তমান পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর প্রকল্প শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে (আগের লক্ষ্য ছিল জুন ২০২৬)।

এক্সপ্রেসওয়েটি ঢাকার সঙ্গে যুক্ত হলে, সাভারের ইপিজেড, আশুলিয়া, নবীনগর, কাওলা হয়ে,  ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত ৪৪ কিলোমিটার পথ একটানা পাড়ি দেওয়া যাবে। র্যাম্পসহ পুরো নেটওয়ার্কের মোট দৈর্ঘ্য দাঁড়াবে প্রায় ৮২ কিলোমিটার।

প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৩০টি জেলার প্রায় ৪ কোটি মানুষ যোগাযোগ সুবিধা পাবেন।

বুয়েটের অধ্যাপক ড. শামছুল হক মনে করেন, পিপিপি প্রকল্পে ব্যয় বাড়া অস্বাভাবিক, অতিরিক্ত ব্যয় সরকার দিলে পিপিপি কাঠামো প্রশ্নবিদ্ধ, মেট্রোরেলের সঙ্গে সঠিক সমন্বয় না হলে ভবিষ্যতে জটিলতা তৈরি হবে



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top