কাতারে ইসরায়েলের হামলা: ১৫ যুদ্ধবিমান অংশ নেয়, নিহত ৬ জন
মিঠু মুরাদ | প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৫২

জেরুজালেমে বন্দুকধারী ফিলিস্তিনিদের হামলায় ছয় ইসরায়েলি এবং গাজায় ইসরায়েলি সেনা ক্যাম্পে চার সৈন্য নিহত হওয়ার জের ধরে কাতারের রাজধানী দোহায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে দোহার একটি আবাসিক ভবন লক্ষ্য করে ইসরায়েলের ১৫টি যুদ্ধবিমান হামলা চালায়। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে ভবনটিতে ১০ গোলা নিক্ষেপ করা হয়।
হামলায় হামাসের পাঁচ সদস্য ও কাতারের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য খলিল আল-হায়ার ছেলে হুম্মাম এবং অফিস পরিচালক জিহাদ লাবাদ।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানান, লক্ষ্যবস্তুতে ছিলেন হামাসের শীর্ষ আলোচক খলিল আল-হাইয়া এবং পশ্চিম তীর থেকে নির্বাসিত নেতা জাহের জাবারিন।
কাতার জানায়, যে ভবনটিতে হামলা চালানো হয়েছে সেখানে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এক বিবৃতিতে হামাস এ হামলাকে “জঘন্য অপরাধ, আগ্রাসন ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন” বলে অভিহিত করেছে।
হামাস আরও অভিযোগ করেছে, এ হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র দায়ী। হামলার আগে বিষয়টি মার্কিন সেনাবাহিনীকে জানিয়েছিল ইসরায়েল—হোয়াইট হাউস এমনটিই নিশ্চিত করেছে।
গত দুই বছরে ইসরায়েলের হামলায় হামাসের বহু শীর্ষ নেতা নিহত হয়েছেন। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ইরান সফরের সময় নিহত হন হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়া। একই বছরে প্রাণ হারান ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ইয়াহিয়া সিনওয়ার।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলায় ইসরায়েলে ১২০০ জন নিহত এবং ২৫১ জন জিম্মি হন। এর জবাবে তেল আবিব গাজায় পাল্টা অভিযান শুরু করে, যা এখনও চলছে। এখন পর্যন্ত গাজায় ৬৪ হাজার ৬০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং দেখা দিয়েছে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।