রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২

জুলাই সনদ ২০২৫: দায়মুক্তি সংযোজন বিতর্ক উস্কে দিতে পারে

নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৪:০৯

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই ২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান এবং পরবর্তী অগাস্ট মাসে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও অপরাধের বিচার নিয়ে তৈরি হচ্ছে নতুন বিতর্ক। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে ঘোষিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’–এর অঙ্গীকারনামায় বলা হয়েছে, ওই সময়ে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের সুরক্ষা এবং শহীদ পরিবারের জন্য রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও সহায়তা নিশ্চিত করা হবে। তবে দায়মুক্তি সংযোজনের কারণে বিতর্কের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

সনদে বলা হয়েছে, ‘শহীদ পরিবার ও আহত বীর যোদ্ধাদের আইনগত দায়মুক্তি’ এবং মৌলিক অধিকার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। তবে কারা কোন অপরাধে দায়মুক্তি পাবেন, তা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়নি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, কোনো ফৌজদারি অপরাধের ক্ষেত্রে বিচারের সুযোগকে সীমাবদ্ধ করা সংবিধানসম্মত নয়। সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী শাহ্দীন মালিক মন্তব্য করেছেন, “দায়মুক্তি অসাংবিধানিক এবং এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।” মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন বলেন, “ঢালাও দায়মুক্তি আইনের শাসনের পক্ষে যায় না; ন্যায্য বিচার প্রয়োজন।”

অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানিয়েছেন, "গণআন্দোলনে যারা অংশ নিয়েছে, তাদের হয়রানি রোধের জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।"

সনদ স্বাক্ষরের পর দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও 시민রা বিক্ষোভও করেছেন, বিশেষ করে ‘জুলাই শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধা’–এর স্বীকৃতি, সংবিধানে অন্তর্ভুক্তি ও দায়মুক্তি সংযোজনের দাবিতে।

তবে ইতিহাসের আলোচ্য দৃষ্টান্ত দেখায়, দায়মুক্তি পরবর্তীতে বিতর্ক ও নতুন রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। ২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্টের গণ-অভ্যুত্থানে নিহতের সংখ্যা সরকারী হিসাব অনুযায়ী ৮৪৪, জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের হিসাব অনুযায়ী প্রায় ১৪০০। আন্দোলনের সময় সরকারি স্থাপনায় হামলা, লুটপাট ও হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top