জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনীর বিচারিক ক্ষমতা দাবি
নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৪৪
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনীসহ সশস্ত্র বাহিনীকে ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব দিতে নির্বাচনী আইন সংস্কার করা হয়েছে। নির্বাচনের সময় তারা অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মতো দায়িত্ব পালন করতে পারবে। তবে সেনাবাহিনী এবার নিজেদের হাতে বিচারিক ক্ষমতা (ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার) রাখার দাবি তুলেছে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কারণে তারা ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করতে পারবে। তবে তাদেরকে অতিরিক্ত বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া ইসির এখতিয়ারে নেই। নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনী স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় কাজ করবে।
বিচারিক ক্ষমতা থাকলে সেনাবাহিনী সদস্যরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে গ্রেফতার, সংক্ষিপ্ত সাজা বা প্রয়োজনে গুলি চালানোর মতো পদক্ষেপ নিতে পারবে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারে।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত এক বছরের বেশি সময় ধরে তারা বিচারিক ক্ষমতা নিয়ে মাঠে দায়িত্ব পালন করছে। নির্বাচনের সময় সেই ক্ষমতা না থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সীমাবদ্ধতা দেখা দিতে পারে।
নির্বাচন বিশ্লেষক ও সাবেক ইসি কর্মকর্তা জেসমিন টুলী বলেন, সেনাবাহিনী নির্বাচনের সময় ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবে কাজ করবে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আদালত কর্তৃক প্রদত্ত ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার থাকলে আরও কার্যকর হবে।
দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীকে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তারা মনে করে, নির্বাচনের সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ থাকলে আগাম বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আইন অনুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা সরকার ছাড়া আর কেউ দিতে পারবে না। এই মুহূর্তে ইসির হাতে সেই এখতিয়ার নেই।
সেনা এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের বক্তব্য, বর্তমানে পুলিশ অনেক ক্ষেত্রে আগের মতো শক্তিশালী নয়। তাই নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দিলে ভোটকেন্দ্রে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হবে।
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।