মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২

অধ্যাপক আবু সুফিয়ানের ‘বীর প্রতীক’ খেতাব বাতিল

নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬:৪২

সংগৃহীত

অধ্যাপক আবু সুফিয়ানের নামের সঙ্গে যুক্ত করা ‘বীর প্রতীক’ খেতাব বাতিল করেছে সরকার। একই সঙ্গে তিনি প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কি না—তা যাচাইয়ের জন্য নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক শাহিনা খাতুনের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুলনার দৌলতপুর উপজেলার বাসিন্দা অধ্যাপক আবু সুফিয়ান (পিতা– মৃত সামসুদ্দিন বিশ্বাস) ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বেসামরিক গেজেট নং-৪১৯৩-এ অন্তর্ভুক্ত হন। পরে তার স্ত্রী ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান একটি ডিও লেটারের মাধ্যমে তার নামের শেষে ‘বীর প্রতীক’ যুক্ত করার আবেদন করেন।

ডিও লেটারে মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের কথা উল্লেখ করা হলেও তা সঠিক নয় বলে অভিযোগ ওঠে। ওই আবেদনের ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ১৫ জুন ২০২৩ তারিখে একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গেজেট সংশোধন করে অধ্যাপক আবু সুফিয়ানের নামের সঙ্গে ‘বীর প্রতীক’ যুক্ত করে।

সম্প্রতি এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হলে বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের নজরে আসে। এরপর জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ১০২তম সভায় বিষয়টি আলোচনা করা হয়। সভায় ২০২৩ সালের সংশোধিত প্রজ্ঞাপন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং অধ্যাপক আবু সুফিয়ান প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কি না—তা যাচাইয়ের জন্য নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য বীরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৩ সালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ৪৭৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রদান করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। ওই তালিকায় অধ্যাপক আবু সুফিয়ানের নাম নেই। পরে আর কাউকে নতুন করে এ ধরনের রাষ্ট্রীয় খেতাব দেওয়া হয়নি।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের সংশোধিত গেজেটের মাধ্যমে যে ভ্রান্ত ধারণার সৃষ্টি হয়েছিল, তা নিরসনের লক্ষ্যেই সর্বশেষ এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

এনএফ৭১/ওতু



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top