জিও ব্যাগ ভরে বালি ও মাটি দিয়ে ইছামতি নদী ভাঙন রক্ষার চেষ্টা

Nasir Uddin | প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২৫, ১৯:৪২

ছবি: সংগৃহীত

মোজাফ্ফর রহমান, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: রুপসী দেবহাটা ম্যান গ্রোভ পর্যটন কেন্দ্র ও পিকনিক স্পটের ভাঙন রক্ষায় মাটি ও বালি ভর্তি জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে নদীতে। ভারত - বাংলাদেশের সীমান্ত নদী ইছামতি নদীর তীরে গড়ে ওঠা পর্যটন কেন্দ্রটি ভেঙ্গে নদী গর্ভে যাওয়ায় দ্রুত এ কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আসাদুজ্জামানের প্রচেষ্টায় কয়েক দফায় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট চিঠি চালাচালির পর পানি উন্নয়ন বোর্ড পর্যটন কেন্দ্রটি রক্ষায় দ্রুত এগিয়ে আসে। গত এক সপ্তাহ যাবৎ চলছে নদী ভাঙন রক্ষায় বালি মাটি ভার্তি জিও ব্যাগ ফেলার কার্যক্রম।

দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আসাদুজ্জামান জানান, দু‘দেশের সীমান্ত ইছামতি নদীর তীরে এ পারে গড়ে ওঠা দেবহাটা ম্যানগ্রোভ ও পর্যাটন কেন্দ্রটি অতি সম্প্রতি নদীর অংশে তীব্র ভাঙন দেখা দেয়। দ্রুত বিষয়টি গত ৬ এপ্রিল পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ একাধিক স্থানে চিঠি দিয়ে নদী ভাঙন বিষয়টি অবহিত করে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের সার্বিক প্রচেষ্টায় পানি উন্নয়ন বোর্ড পর্যাটন কেন্দ্রটির ভাঙন রক্ষায় এগিয়ে আসে। গত সপ্তাহ ধরে উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড যৌথ ভাবে সীমান্ত নদী ইছামতি‘র ভাঙন ঠেকাতে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক দিয়ে প্রতিদিন জিও ব্যাগ ভর্তি করে মাটি ও বালি ফেলা হচ্ছে। তবে প্রথমিক ভাবে ভাঙন রক্ষা হলেও স্থায়ী ভাবে দেবহাটা ম্যানগ্রোভ পর্যাটন স্পর্টটি রক্ষায় টেকসহ প্রকল্প নেয়ার দাবী স্থানীয়দের।

উল্লেখ্য, রুপসী দেবহাটা ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্র ও পিকনিক স্পট সাতক্ষীরার একটি ঐতিহ্যবাহী দর্শনীয় স্থান। কয়েক বছর আগে সুন্দরবনের আদলে কৃতিমভাবে ৩৫ একর জমিতে মিনি সুন্দরবন গড়ে তোলা হয়। এই বনের মধ্যে সুন্দরী, কেওড়া, গেওয়া, কেওড়া, গোলপাতা, ও অন্যান্য বনজ গাছের ভিতর দিয়ে ট্রেইলের মাধ্যমে ইছামতি নদীর তীর পর্যন্ত যাওয়া যায়। এছাড়া রয়েছে পাখির অভয়ারণ্য যা পর্যটকদের প্রধান আকর্ষন। প্রতিদিন কয়েক হাজার পর্যাটক ঘুরতে যান এ মিনি সুন্দরবনে। বাংলাদেশের ইছামতি নদী ও ভারতের হাসনাবাদের নদীর মোহনার তীরে এই পর্যাটন কেন্দ্রটির অবস্থান। বর্তমানে ইছামতীর তীর বড় জোয়ারে এবং বর্ষা মৌসুমে ভারী বর্ষনে বাংলাদেশের অংশে ভেঙে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ফলে বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশের মানচিত্র।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top