মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

পলাশবাড়ীতে নদী থেকে বালু উত্তোলনের মহোৎসব

গাইবান্ধা থেকে | প্রকাশিত: ১৫ এপ্রিল ২০২১, ১৯:০৬

পলাশবাড়ীতে নদী থেকে বালু উত্তোলনের মহোৎসব

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের ঋষিঘাট করতোয়া নদী থেকে দীর্ঘদিন থেকে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। জানা যায়, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের চকবালা গলদহ পাড়া গ্রামের বালু উত্তোলনকারীর মুল হোতা কামাল মিয়া দীর্ঘ কয়েক বছর থেকে নদীতে মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে এ ব্যবসা চালিয়ে আসছে।

১৪ এপ্রিল দুপুরে কয়েকজন সাংবাদিক গেলে দেখা মেলে কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের ঋষিঘাট নামক সীমানা দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদীতে মেশিন বসিয়ে ভুট্টার ক্ষেতের ভিতর দিয়ে পাইপ লাগিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছেন। দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত এই নদীতে মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে আশেপাশের কৃষি জমি চরে পরিণত হয়েছে।

এছাড়াও অনেক জমির মালিকের জমি ভেঙ্গে নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে। এই মেশিন মালিক বালু উত্তোলনকারীর মুল হোতা কামাল মিয়া কখনো দিনে কখনো রাতে লক্ষ লক্ষ টাকার বালু উত্তোলন করে আসছে। তিনি নিজে লাভবান হলেও ক্ষতি করছে দেশের সম্পদের ও সাধারন মানুষের।এতে ক্ষতি হচ্ছে, নদীর কিনারা,কৃষি জমি, কৃষি জমি কমিয়ে জলাশয়ে পরিণত হওয়া, পাশাপাশি নদীর কিনারা ভেঙে মূল নদীর ভূমির আকার পরিবর্তন, বসতবাড়ি, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ ধসে যাচ্ছে ।

স্থানীয়রা জানান, “বাঁধা দিলে তাদেরকে শাসিয়ে দমন করে রাখেন এবং যাকে যেভাবে পারে তাকে সেই ভাবে ম্যানেজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ধ্রুন্দর,চতুর কামাল বালু উত্তোলন করে নির্বিঘ্নে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও গড়ে সিন্ডিকেট তুলেছেন। ব্যবসায়ী বালু উত্তোলন মেশিন মালিক দম্ভের সাথে জানান, প্রশাসন ম্যানেজ আছে। আপনি সাংবাদিক হামার কি করবে দেখা হবে।” এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করলে তিনি ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস জানান।এব্যাপারে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।


এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top