মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

ইসরায়েলের কাছে ৫১ কোটি ডলারের বোমার সরঞ্জাম বিক্রি করবে যুক্তরাষ্ট্র

Nasir Uddin | প্রকাশিত: ১ জুলাই ২০২৫, ১৫:৫১

ফাইল ছবি

ইসরায়েলের কাছে ৫১০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের বোমার সরঞ্জাম বিক্রি করবে যুক্তরাষ্ট্র। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন করেছে দেশটির সরকার। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত থাকায় অস্ত্র নির্দেশিকা কিট বিক্রির এই অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি এ তথ্য জানায়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা (ডিএসসিএ) এক বিবৃতিতে বলেছে, (প্রস্তাবিত) এ বিক্রি ইসরায়েলকে এখনকার ও ভবিষ্যতের হুমকি মোকাবিলায় সাহায্য করবে। এর মাধ্যমে তারা নিজেদের সীমান্ত, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও মানুষের বসতি আরও ভালোভাবে রক্ষা করতে পারবে।

২০১৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ চলাকালে তিনি ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করেন। কয়েক সপ্তাহ ধরে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তিতে ফেরার জন্য তিনি কূটনৈতিক সমাধানের পথ খুঁজছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেন এবং দেশটির পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে মার্কিন হামলার নির্দেশ দেন তিনি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের নিরাপত্তা রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। ইসরায়েলের আত্মরক্ষার সক্ষমতা যেন দৃঢ় ও প্রস্তুত থাকে, তা নিশ্চিত করাটা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ইসরায়েলের কাছে এসব সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে। আর ডিএসসিএ বিষয়টি কংগ্রেসকে জানিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে কংগ্রেস এখনো অনুমতি দেয়নি।

গত ১৩ জুন ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্র, বিজ্ঞানী ও শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে ইসরায়েল বড় ধরনের বিমান হামলা চালায়। ইসরায়েল চায় ইরান যেন তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করে দেয়। আর ইরান বলে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচির উদ্দেশ্য বেসামরিক। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা মনে করে, ইরান আসলে পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে চায়।

২০১৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ চলাকালে তিনি ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করেন। কয়েক সপ্তাহ ধরে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তিতে ফেরার জন্য তিনি কূটনৈতিক সমাধানের পথ খুঁজছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেন এবং দেশটির পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে মার্কিন হামলার নির্দেশ দেন তিনি।

গত সপ্তাহে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি হয়েছে। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি কখনোই তেহরানকে আবারও পারমাণবিক স্থাপনা গড়ে তুলতে দেবেন না। এতে ভবিষ্যতে আবার সংঘাত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top