বক্স অফিসে ঝড় তুললেও আরব দেশে আটকে গেল রণবীর সিংয়ের ‘ধুরন্ধর’
বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:২৪
অপ্রতিরোধ্য রণবীর সিং অভিনীত বহুল প্রতীক্ষিত অ্যাকশন থ্রিলার সিনেমা ‘ধুরন্ধর’ দেশ–বিদেশের বক্স অফিসে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। মুক্তির মাত্র এক সপ্তাহেই ছবিটির আয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩০২ কোটি রুপি। তবে এই সাফল্যের মাঝেই বড় ধাক্কা খেয়েছে ছবিটির আন্তর্জাতিক মুক্তি। গল্পের বিষয়বস্তুকে ঘিরে বিতর্কের কারণে একাধিক আরব দেশে সিনেমাটির মুক্তি আটকে গেছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে, বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত—এই ছয়টি দেশে এখনো ‘ধুরন্ধর’ মুক্তি পায়নি। বিভিন্ন মহলে ছবিটিকে পাকিস্তানবিরোধী হিসেবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছিল, যার ফলে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সেন্সর বোর্ড সতর্ক অবস্থান নেয়। শেষ পর্যন্ত ওই দেশগুলো সিনেমাটি প্রদর্শনের অনুমতি দেয়নি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পাকিস্তানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সম্পর্কের কারণে সংবেদনশীল রাজনৈতিক বিষয়বস্তুর ওপর নির্মিত ভারতীয় সিনেমা প্রায়ই বাধার মুখে পড়ে। ‘ধুরন্ধর’-এর ক্ষেত্রেও সেই একই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি ঘটেছে।
এর আগেও একাধিক ভারতীয় সিনেমা আরব দেশগুলোতে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে। ‘আর্টিকেল ৩৭০’ গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) সার্টিফিকেশন পায়নি। সালমান খানের ‘টাইগার ৩’ ওমান, কুয়েত ও কাতারে নিষিদ্ধ হয়েছিল। এছাড়া ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ উপসাগরীয় বেশ কয়েকটি দেশে প্রদর্শনের অনুমতি পায়নি। যদিও সংযুক্ত আরব আমিরাত ছবিটিকে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সার্টিফিকেট দিয়ে মুক্তির অনুমতি দিয়েছিল।
চলচ্চিত্র বিশ্লেষকদের মতে, আরব দেশগুলোতে ভারতীয় সিনেমার দর্শকসংখ্যা ও বাজার বড় হলেও রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল বিষয়বস্তুর কারণে অনেক সময় তারকারা সেই দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে পারেন না। ‘ধুরন্ধর’-এর ক্ষেত্রেও বক্স অফিস সাফল্য সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক বাজারের একটি বড় অংশে ছবিটি মুক্তি না পাওয়ায় নির্মাতারা আর্থিক ও প্রচারণাগত ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন।
তবে দেশীয় বাজার ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক অঞ্চলে ‘ধুরন্ধর’-এর দাপট অব্যাহত থাকায় রণবীর সিংয়ের ক্যারিয়ারে এটি আরও একটি সফল সংযোজন বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এনএফ৭১/ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।