বৃহঃস্পতিবার, ২১ আগস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২

অতিরিক্ত ক্লান্তি দূর করতে করণীয় কী ?

সাবিকুন নাহার সাদিয়া | প্রকাশিত: ২১ আগষ্ট ২০২৫, ১৭:৪৮

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের বর্তমান বাজার ব্যবস্থায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে শিশুদের খাদ্য চাহিদা পূরণে ঘটছে বড় বিপত্তি। বিশেষ করে প্রোটিন জাতীয় খাবারে সংকট বেশি দেখা দিচ্ছে। দেশের অনেক মানুষ এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। অনেক পরিবারের জন্য ন্যূনতম খাদ্য চাহিদা পূরণ করাটাই কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। মাছ-মাংস তো দূরের কথা, দাম বেড়েছে ডালেরও।

শিশুদের বাড়ন্ত শরীর তাদের বয়স অনুযায়ী প্রচুর প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। প্রোটিনের অভাবে শিশুদের অতিরিক্ত ক্লান্তি বেড়ে যেতে পারে, মেধাবিকাশে বাধাগ্রস্ত হতে পারে, এমনকি তাদের শারীরিক বৃদ্ধিতেও ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

তাই শিশু খাদ্য নির্বাচনে তুলনামূলকভাবে প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারগুলো রাখতেই হবে। শিশুর শরীরের গঠনের ওপর নির্ভর করে তার চাহিদা প্রতিদিন প্রতি কেজি ওজনের জন্য ১ থেকে ১.৫ গ্রাম প্রোটিন। সে ক্ষেত্রে প্রতিদিন পরিকল্পনা করে তাদের প্রোটিন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

দুধ : শিশুদের প্রধান খাদ্য। তাই প্রোটিনের চাহিদা পূরণে প্রতিদিন দুধ অথবা দুধের তৈরি খাবার দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

ডিম : প্রোটিনের আরেকটি ভালো উৎস হলো ডিম। সিদ্ধ, পোচ, ভাজি বা ডিম দিয়ে তৈরি অন্য খাবার—যেকোনোভাবেই শিশুদের ডিম খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে। এটি তুলনামূলক সহজলভ্য এবং সস্তা প্রোটিনজাতীয় খাবার।

মাংস : লাল মাংস শিশুদের জন্য খুব উপকারী না হলেও মুরগির মাংস পাতলা ঝোল করে খাওয়ানো যেতে পারে।

মাছ : প্রোটিনের আরেকটি ভালো উৎস হলো মাছ, বিশেষ করে ছোট মাছ। ছোট মাছের ঝোল বা বেটে কাবাবের মতো বানিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে।

ডাল : বিভিন্ন রকমের ডাল শিশুদের প্রোটিনের ভালো উৎস হতে পারে। স্বল্পমূল্যের এই খাবারটি সবার হাতের নাগালে। ডালভাত বা ডালের খিচুড়ি রান্না করে দেওয়া যেতে পারে।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top