বৃহঃস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২

শততম টেস্টের সম্মাননায় আবেগাপ্লুত মুশফিক, বগুড়ায় ক্রিকেট একাডেমি গড়ার ঘোষণা

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮:৩৫

সংগৃহীত

বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ খ্যাত মুশফিকুর রহিম শততম টেস্ট খেলার গৌরব অর্জন করায় নিজ জেলা বগুড়ায় বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানিয়ে বগুড়ায় একটি মানসম্মত ক্রিকেট একাডেমি গড়ার ঘোষণা দেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে তরুণ ক্রিকেটারদের পক্ষ থেকে এই কৃতি সন্তানকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ঘরের মাঠ, চেনা গ্যালারি আর শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত পরিবেশে আবেগঘন সময় কাটান দেশের অন্যতম সফল এই উইকেটকিপার-ব্যাটার।

দুপুর ১২টায় শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্রেস্ট ও ফুলের শুভেচ্ছা তুলে দেন বর্তমান জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার ও বগুড়ার আরেক সন্তান তৌহিদ হৃদয়। অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলের উদীয়মান ক্রিকেটার, ক্রীড়া সংগঠক ও স্থানীয় ক্রীড়াপ্রেমীরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মুশফিক বলেন,

“আমার স্বপ্ন বগুড়ায় একটি মানসম্মত ক্রিকেট একাডেমি গড়ার। উত্তরবঙ্গে অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটার আছে, কিন্তু সুযোগ-সুবিধার অভাবে তারা ঝরে পড়ে। আমি এমন একটি একাডেমি করতে চাই, যেখানে তরুণরা বারো মাস অনুশীলনের সুযোগ পাবে। এটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।”

নিজের সংগ্রামের দিনের কথা স্মরণ করে তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন,

“আমিও একসময় তোমাদের মতোই ছোট ছিলাম। পরিবার ও আল্লাহর রহমতে আজ এই জায়গায় আসতে পেরেছি। সময়ের নিয়মে আমরা একদিন বিদায় নেব, কিন্তু হৃদয়-তামিমদের মতো নতুন প্রজন্মই দেশের ক্রিকেটের দায়িত্ব সামলাবে।”

অনুষ্ঠানে তৌহিদ হৃদয় বলেন,

“মুশফিক ভাইয়ের খেলা দেখেই আমার বেড়ে ওঠা। তিনি আমার আদর্শ। ২০০৭-০৮ সালের স্মৃতিগুলো আজও চোখে ভাসে। এমন একজন কিংবদন্তির পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারাটা আমার জন্য গর্বের।”

বগুড়া শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামের ভেন্যু ম্যানেজার জামিলুর রহমান জামিলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেক খুদে ক্রিকেটার আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। বগুড়াবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা— ক্যারিয়ার শেষ করার আগে যেন মুশফিকুর রহিম অন্তত একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ নিজের ঘরের মাঠে খেলার সুযোগ পান।

অনুষ্ঠান শেষে মুশফিক মাঠে উপস্থিত তরুণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে সময় কাটান, তাদের খোঁজখবর নেন এবং ভবিষ্যতের জন্য অনুপ্রেরণা দেন।

 

এনএফ৭১/ওতু



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top