নীরব ঘাতক ক্রনিক কিডনি ডিজিজ, জেনে নিন লক্ষণ

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫:৫৭

সংগৃহীত

দিনভর দৌড়ঝাঁপের পরও যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ক্লান্তি অনুভব করেন, শুধু গরম বা ঘুমের ঘাটতি নয়, তা হতে পারে ক্রনিক কিডনি ডিজিজের (CKD) শুরু। বিশেষজ্ঞরা এটিকে ‘নীরব ঘাতক’ বলছেন, কারণ প্রাথমিক পর্যায়ে এর কোনো লক্ষণ বোঝা যায় না।

কিডনি আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ ফিল্টার। এটি রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ ও টক্সিন সরিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, রক্তকণিকা তৈরি এবং হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। কিডনি ধীরে ধীরে দুর্বল হলে শরীরে জমে টক্সিন এবং নানা জটিলতা দেখা দেয়।

প্রাথমিক লক্ষণ:

ঘন ঘন প্রস্রাবের প্রয়োজন

ক্লান্তি ও দুর্বলতা

ক্ষুধামান্দ্য

হাত, পা ও চোখে ফোলা

প্রস্রাব ফেনাযুক্ত বা বুদবুদযুক্ত

চুলকানি ও শুষ্ক ত্বক

মনোযোগের অভাব, ঘুমের ব্যাঘাত

বমি ভাব, পেশি টান, রক্তচাপ বৃদ্ধি

প্রধান কারণ:

ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ প্রধান কারণ। এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে:

গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস

পলিসিস্টিক কিডনি ডিজিজ

প্রস্রাবের পথ বাধাগ্রস্ত হওয়া

দীর্ঘমেয়াদি ব্যথানাশক ওষুধ সেবন

পুনরাবৃত্ত কিডনি সংক্রমণ

চিকিৎসা ও প্রতিরোধ:

ক্রনিক কিডনির স্থায়ী চিকিৎসা নেই। তবে সঠিক সময়ে চিকিৎসা ও নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা কিডনির কার্যক্ষমতা দীর্ঘদিন ধরে রাখতে সাহায্য করে। প্রতিরোধে সহায়ক:

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা

রক্তচাপ ও রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ

সুষম খাদ্যাভ্যাস

ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার

ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা

অকারণে ব্যথানাশক ওষুধ ব্যবহার না করা

দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ যতটা ভয়াবহ, ততটাই প্রতিরোধযোগ্য। সচেতনতা ও নিয়মিত চিকিৎসা কিডনির স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ধরে রাখতে সহায়তা করে।

সূত্র: ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক

 

এনএফ৭১/ওতু



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top