শনিবার, ৯ আগস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২

জুলাই সনদে দ্বিমত— জাতীয় ঐকমত্য প্রক্রিয়া ভাঙনের মুখে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৯ আগষ্ট ২০২৫, ১৫:০৮

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ শেষের পথেৃ কিন্তু বহুল আলোচিত ‘জুলাই সনদ’ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। বাস্তবায়ন পদ্ধতি ও আইনি ভিত্তি নিয়ে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির তীব্র মতবিরোধ— যা জাতীয় ঐকমত্যের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে গঠিত এই কমিশনের মূল লক্ষ্য ছিল জুলাইয়ের মধ্যে সনদ চূড়ান্ত করা। প্রস্তাব অনুযায়ী— আগামী নির্বাচনের পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বড় সংস্কার বাস্তবায়নের অঙ্গীকার থাকবে।

বিএনপি বলছে— স্বাক্ষর কোনো বাধা নয়, তবে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ও আইনি ভিত্তি স্পষ্ট হওয়া জরুরি। জামায়াত ও এনসিপি দাবি করছে— সংস্কার নির্বাচনের আগেই অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে বাস্তবায়ন হোক এবং সনদ আইনি রূপ পাক।

জামায়াতের মতিউর রহমান আকন্দ সতর্ক করেছেন— জাতীয় স্বার্থে ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই নেই, প্রয়োজনে গণভোটও হতে পারে।

এনসিপির আরিফুল ইসলাম আদীবের শর্ত— প্রজনন অনুপাত ভোট, প্রধানমন্ত্রী পদে দলীয় অনুপস্থিতি, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে গোপন ভোটে একমত না হলে তারা সনদে স্বাক্ষর করবে না।

কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে ১৫ আগস্ট। একমত হতে না পারলে কী হবে— তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে শঙ্কা বাড়ছে। বিশ্লেষকদের মতে, দলগুলো নিজেদের স্বার্থে চাপ দিচ্ছে, আর কেউ কেউ হয়তো নির্বাচন বিলম্বিত করতে চাইছে। সব নজর এখন কমিশনের শেষ বৈঠকে— জুলাই সনদ কি জাতীয় ঐকমত্যের নতুন অধ্যায় খুলবে, নাকি রাজনৈতিক বিভাজনের আরেকটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে?



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top