• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


ফিলিস্তিনে ২০ বছরের মধ্যে ইসরাইলের সবচেয়ে বড় হামলা

রাজিউর রেহমান | প্রকাশিত: ৪ জুলাই ২০২৩, ২৩:৩২

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিন অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর এক বড় আকারের সামরিক অভিযান শুরু করেছে। এতে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।

জেনিনে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর চলমান অভিযানের প্রতিবাদে দখলকৃত পশ্চিমতীরে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। পশ্চিম তীরের দোকানপাট ও অফিস বন্ধ রয়েছে। এছাড়া গ্রীষ্মকালীন ছুটির জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

ফিলিস্তিন রেডক্রসের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জেনিন শরণার্থী শিবির থেকে এখনো পর্যন্ত তিন হাজার ফিলিস্তিনিকে স্থানীয় হাসপাতালে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকই অসুস্থ ও প্রবীণ।

ইসরায়েলের ভাষ্য হচ্ছে, এই অভিযানের মাধ্যমে ‘সন্ত্রাসীদের আস্তানা’ নিশানা করা হচ্ছে। তবে ফিলিস্তিনের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, তাদের নিরস্ত্র মানুষের ওপর আবারও নতুন করে যুদ্ধাপরাধ করছে ইসরায়েল।

জাতিসংঘ বলছে, জেনিন শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের প্রভাব নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। অভিযানের কারণে শরণার্থী শিবিরের বড় এলাকাজুড়ে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। এজন্য যারা ক্যাম্প ছেড়ে চলে যেতে চাইছে তারা ঘর থেকে বের হতে পারছে না বলে জাতিসংঘের বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

গত এক বছরের মধ্যে জেনিনের শরণার্থী শিবিরের ওপর একাধিক ইসরায়েলি সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। ইসরায়েলিদের লক্ষ্য করে বেশ কিছু গুলিবর্ষণের ঘটনাও ঘটেছে। ফিলিস্তিনিদের দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সময় এই এলাকাটিতে ব্যাপক গোলযোগ হয়।

২০০২ সালের এপ্রিলে ইসরায়েলি বাহিনী পুরোদমে সামরিক অভিযান চালায়। সে সময় কমপক্ষে ৫২ জন ফিলিস্তিনি এবং ২৩ জন ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হয়।

এদিকে, ইসরাইলের এই অভিযানকে সমর্থন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, নিজের দেশের মানুষকে হামাস, ফিলিস্তিন ইসলামিক ফোর্স ও অন্য জঙ্গি সংগঠনের হাত থেকে রক্ষা করার অধিকার ইসরাইলের রয়েছে। তবে এ ধরনের অপারেশনের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সতর্ক থাকা দরকার। সাধারণ মানুষের কোনো ক্ষতি যাতে না হয়, সেটা নিশ্চিত করা উচিত।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্য কয়েকটি পশ্চিমা দেশ হামাস ও ইসলামিক জিহাদকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে চিহ্নিত করেছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জেনিনের শরণার্থী শিবিরকে ঘিরে ইসরাইলি সেনাদের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের বেশ কয়েকবার সংঘর্ষ হয়েছে।

গত মাসে ইসরাইলি ড্রোন হামলায় এখানে তিন ফিলিস্তিনি নিহত হন। জাতিসংঘের হিসাবে, এ বছর ইসরাইলি হামলায় মোট ১৪৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top