সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের সম্পত্তি জব্দ করেছে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি
Nasir Uddin | প্রকাশিত: ১২ জুন ২০২৫, ১২:৩৭

যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পদ জব্দ করেছে দেশটির ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ)। বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাইফুজ্জামানের বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বুধবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার তদন্তকারী ইউনিটের এক বিশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী বর্তমানে মানি লন্ডারিং (অর্থপাচার) মামলায় বাংলাদেশে তদন্তাধীন রয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও এখন নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন।
এক বিবৃতিতে এনসিএ জানায়, তারা একটি চলমান বেসামরিক তদন্তের অংশ হিসেবে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বেশ কিছু সম্পত্তি ফ্রিজ (অর্থাৎ বিক্রয় বা হস্তান্তরের ওপর নিষেধাজ্ঞা) করেছে। এর ফলে তিনি এসব সম্পদ বিক্রি করতে পারবেন না।
আল জাজিরার পূর্ববর্তী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাইফুজ্জামান চৌধুরী যুক্তরাজ্যে ৩৫০টির বেশি সম্পত্তির মালিক। এদের মধ্যে লন্ডনের অভিজাত এলাকা সেন্ট জনস উডে অবস্থিত একটি বিলাসবহুল বাসভবন রয়েছে, যার মূল্য ১ কোটি ১০ লাখ পাউন্ড।
চট্টগ্রামের একটি প্রভাবশালী পরিবার থেকে উঠে আসা চৌধুরী কীভাবে বাংলাদেশি আইনে বার্ষিক সর্বোচ্চ ১২ হাজার ডলার বৈদেশিক লেনদেন সীমার মধ্যে থেকে ৫০ কোটি ডলারের বেশি বিদেশে সম্পদ গড়ে তুলেছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। লন্ডন, দুবাই এবং নিউ ইয়র্কে তার যে সম্পদ রয়েছে, সেগুলোর কোনো ঘোষণা তিনি বাংলাদেশের কর দাখিলে করেননি।
২০২৪ সালের অক্টোবরে সম্প্রচারিত The Minister’s Millions নামের আল জাজিরার একটি ডকুমেন্টারিতে এসব তথ্য উঠে আসে।
২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এরপর বাংলাদেশের নতুন প্রশাসন তার সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু করে।
দেশজুড়ে অভ্যুত্থান ও সহিংসতার পটভূমিতে আই-ইউনিট সাইফুজ্জামান চৌধুরীকে খুঁজে পায় লন্ডনের তার বাসভবনে। সেখানে তাকে লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডসংলগ্ন অভিজাত পাড়ায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়।
তবে সাইফুজ্জামান চৌধুরী দাবি করেছেন, তার সম্পত্তি বৈধ ব্যবসা থেকে অর্জিত এবং রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন তিনি।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।