ট্রাম্পের ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে দিলো যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট

Nasir Uddin | প্রকাশিত: ২৮ জুন ২০২৫, ১৯:২২

ফাইল ছবি

মার্কিন প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশ আটকে দেয়ার ক্ষেত্রে ফেডারেল বিচারকদের ক্ষমতা সীমিত করে দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে অবৈধ অভিবাসী ও অস্থায়ী ভিসাধারীদের সন্তানদের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বন্ধে যে আদেশ জারি করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, সেটি কার্যকর হওয়ার পথ প্রশস্ত হয়েছে। খবর বিবিসির।

ট্রাম্পের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব সীমিত করার যে কর্মসূচি মাসের পর মাস ধরে নিম্ন আদালতের বিচারকদের আদেশের কারণে থমকে ছিল, তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টাকে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার সমর্থন দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে জন্ম হলেই নাগরিকত্ব না দেওয়ার যে নীতি ট্রাম্প প্রশাসন নিয়েছে, আপাতত তারই দ্বার খুলে দিল সুপ্রিম কোর্টের এই রায়। ট্রাম্প এই রায়কে এক ‘বিশাল জয়’ বলে অভিহিত করেছেন।

সুপ্রিম কোর্টের রুলিংয়ের ক্ষেত্রে রক্ষণশীল বলে পরিচিত বিচারকরা ট্রাম্পের পক্ষ নিয়েছেন। তবে তারা বলেছেন যে, তারা জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্পের উদ্যোগের বিষয়টিতে দৃষ্টি দেননি, বরং তারা মোটা দাগে প্রেসিডেন্টের কার্যক্রমের ওপর আলোকপাত করেছেন।

সুপ্রিম কোর্টের রুলিংয়ে বলা হয়েছে, দেশের আদালতগুলো অসাংবিধানিক বা বেআইনি মনে হলে প্রেসিডেন্টের কার্যক্রম স্থগিত করতে পারবে। তবে এটা হবে আরও বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, যার অর্থ হলো প্রেসিডেন্ট তার কাজ চালিয়ে যাবার জন্য আরও সুযোগ পাবেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই আদেশের ফলে ভবিষ্যতে নির্বাহী আদেশে নেয়া পদক্ষেপগুলো চ্যালেঞ্জের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসবে এবং তাদের মতে এই আদেশেরও আইনি চ্যালেঞ্জ হবে।

অভিবাসন-বিষয়ক অধিকার গোষ্ঠীসহ ২২টি রাজ্য দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার প্রথম দিনে ট্রাম্প যেসব নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন তার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। ম্যারিল্যান্ড, ম্যাসাচুসেটস, ওয়াশিংটনসহ বিভিন্ন জায়গায় মামলা হয়েছিল, যার উদ্দেশ্য ছিল ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ আটকে দেয়া এবং প্রাথমিক পর্যায়ে তাই হয়েছিল।

কিন্তু দেশটির জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট এর সাথে একমত হয়নি। তারা সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে এবং তাতে তারা প্রাথমিক আদেশ সাংবিধানিক হয়নি বলে যুক্তি তুলে ধরে। শুক্রবার আদালত ট্রাম্প প্রশাসনের সাথে একমত পোষণ করে নতুন আদেশ দিয়েছে।

এদিকে শুক্রবারই এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প আদালতের আদেশের প্রশংসা করে বলেছেন, এ সিদ্ধান্ত সংবিধানের জন্য, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ও আইনের শাসনের জন্য অগ্রাহ্য করার চেষ্টা করেছিলো এবং দেশজুড়ে তার আদেশের বিষয়ে যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলো সেটি ছিলো ‘গণতন্ত্রের জন্য মারাত্মক হুমকি’।

মূলত, দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফেরার প্রথম দিনেই ট্রাম্প তার এজেন্ডা বাস্তবায়নে নির্বাহী আদেশ জারি শুরু করেছিলেন।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top