ফিলিপাইনে টাইফুন কালমেগিতে নিহত অন্তত ৫৮
আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ৫ নভেম্বর ২০২৫, ১১:২১
ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় কালমেগি, যার প্রভাবে প্রবল বৃষ্টিপাত ও বন্যায় বহু এলাকা তলিয়ে গেছে। সরকারের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৮ জন নিহত হয়েছেন। নিরাপত্তার জন্য কয়েক লাখ মানুষকে আগাম সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সেবু দ্বীপে সবচেয়ে তীব্র প্রভাব দেখা গেছে। সেবুর বেসামরিক প্রতিরক্ষা উপ-প্রশাসক রাফায়েলিতো আলেজান্দ্রো জানান, কেবল সেবুতেই ২১ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে। অধিকাংশ নিহত পানিতে ডুবে মারা গেছেন।
প্রাদেশিক তথ্য কর্মকর্তা রন রামোস বলেন, ঝড়ের সম্ভাব্য পথে প্রায় ৪ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কালমেগির আঘাতের আগের ২৪ ঘণ্টায় সেবু শহরের আশপাশে ১৮৩ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে, যা মাসিক গড়ের চেয়ে অনেক বেশি।
সেবু সিটির বাসিন্দা ডন ডেল রোসারিও বলেন, “ভোর ৪টার মধ্যেই পানি বাড়তে শুরু করলে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছিল না। আমি ২৮ বছর ধরে এখানে আছি, এর চেয়ে ভয়াবহ কিছু দেখিনি।”
স্থানীয় দুর্যোগ কর্মকর্তা এথেল মিনোজা জানান, সেবুতে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লেইতে প্রদেশে এক বৃদ্ধ এবং বোহলে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বজুড়ে ঘূর্ণিঝড় ও টাইফুন ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছে। উষ্ণ মহাসাগর ও আর্দ্র বায়ুমণ্ডল ভারি বৃষ্টিপাতের কারণ হচ্ছে।
বর্তমানে টাইফুন কালমেগি ফিলিপাইনের পশ্চিমাঞ্চলের ভিসায়ান দ্বীপপুঞ্জ অতিক্রম করছে। ঘণ্টায় বাতাসের গতি ১৩০ কিমি এবং দমকা হাওয়ার গতি ১৮০ কিমি পৌঁছাচ্ছে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানান, এ বছর ফিলিপাইনে ইতোমধ্যেই বার্ষিক গড় ঝড়ের সংখ্যা পূর্ণ হয়েছে এবং ডিসেম্বর পর্যন্ত আরও তিন থেকে পাঁচটি ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে, ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তা করতে গিয়ে একটি সুপার হিউই উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে। সেনাবাহিনী বলেছে, উড়োজাহাজে কেউ জীবিত আছে কিনা, তা এখনও জানা যায়নি।
সূত্র: এএফপি
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।