নির্বাচনের আগে হাজার হাজার মানুষকে ক্ষমা জান্তা সরকারের

আগামী মাসের নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে মিয়ানমারের সেনা সরকার সোমবার (২৭ নভেম্বর) ৮,৬৬৫ জন আটক বা পলাতক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ক্ষমা ও সাজা হ্রাসের ঘোষণা দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে আল জাজিরা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ঘোষণার আওতায় ৩,০৮৫ জনের কারাদণ্ড কমানো হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে ‘ভয় ছড়ানো বা ভুয়া তথ্য ছড়ানোর’ অভিযোগ ছিল। এছাড়া ৫,৫৮০ জন পলাতক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে এদের মধ্যে কতজন রাজনৈতিক বন্দি এবং মুক্তি কবে থেকে শুরু হবে, তা এখনও পরিষ্কার নয়।

সেনা সরকারের মুখপাত্র জাও মিন তুন জানিয়েছেন, “২৮ ডিসেম্বর ভোটে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এই ক্ষমা প্রদান করা হয়েছে।” ইয়াঙ্গুনের ইনসেইন কারাগারের এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, মুক্তির প্রক্রিয়া অবিলম্বে শুরু হবে, তবে নির্দিষ্ট সংখ্যা বা নাম তিনি জানাননি।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ইতিমধ্যেই ‘নকল গণতন্ত্র’ হিসেবে সমালোচনা করেছে। স্বাধীন পর্যবেক্ষক সংস্থা অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি) জানিয়েছে, বুধবার পর্যন্ত দেশটিতে ২২,৭০৮ জন রাজনৈতিক বন্দি রয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে ইনসেইন কারাগারের বাইরে অনেক মানুষ জড়ো হন—বন্ধু বা স্বজনদের মুক্তি পাওয়ার অপেক্ষায়। তবে ৮০ বছর বয়সী সাবেক নেত্রী অং সান সু চি এর অন্তর্ভুক্তি এখনো নিশ্চিত নয়; তিনি ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন এবং ২৭ বছরের সাজা ভোগ করছেন।

বার্মা ক্যাম্পেইন ইউকের পরিচালক মার্ক ফারমানা এ ঘটনাকে “সেনা সরকার রাজনৈতিক বন্দিদের ব্যবহার করে নির্বাচনের বৈধতার ভান তৈরি করছে” হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

এনএফ৭১/ওতু