• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


কমিউনিটি ক্লিনিকে আস্থা

পাবনার ঈশ্বরদী থেকে | প্রকাশিত: ১৮ আগষ্ট ২০২১, ২১:২০

কমিউনিটি ক্লিনিকে আস্থা

স্বাস্থ্যসেবা দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কাজ করছে বর্তমান সরকার। যেকোনো শারীরিক সমস্যায় গ্রামের গরিব রোগীরা যেন হাতের নাগালে চিকিৎসা সেবা পান সেই লক্ষে গ্রামে গ্রামে গড়ে উঠেছে কমিউনিটি ক্লিনিক। এসব ক্লিনিকে নামমাত্র মূল্যে সেবা মেলে রোগীদের। এখন আর গর্ভবতী নারীকে সমস্যা নিয়ে ছুটতে হয় না উপজেলা হাসপাতালে।

ঈশ্বরদীতে চিকিৎসা সেবা বিস্তারে গ্রাম পর্যায়ে গড়ে উঠেছে ২৮টি কমিউনিটি ক্লিনিক। যেখানে দৈনিক প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ জন রোগী সেবা নেন। জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া, আমাশয়, গ্যাস, নরমাল অ্যান্টিবায়োটিক, ভিটামিন ও আয়রনসহ ৩২ পদের ওষুধ মেলে কমিউনিটি ক্লিনিকে। গ্রামীণ পর্যায়ে পুরুষের তুলনায় নারীদের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিক। এই কেন্দ্রগুলোতে আসা রোগীর ৮০ ভাগই নারী বা শিশু।

কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো পরিচালনায় স্থানীয় পর্যায়ে রয়েছে ১১-১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল। যার সভাপতি স্থানীয় ইউপি সদস্য। ক্লিনিক ও রোগীদের সার্বিক বিষয়ে দেখভাল করার দায়িত্ব এই কমিটির।

তবে এসব ক্লিনিকের সেবা নিয়ে রোগীদের রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অধিকাংশ রোগীর অভিযোগ, প্যারাসিটামল, মেট্রো আর অ্যান্টাসিড ছাড়া প্রয়োজনীয় ওষুধ মেলে না এখানে। পাকশী ইউনিয়নের বাঘইল উত্তর পাড়া গ্রামের কুলসুম বেগম বলেন,‘আমার স্বামী দিনমজুর। ক্লিনিক হওয়ার পর থেকে আমি সেবা নেই। টুকটাক সব ওষুধ দেয় আপা।’ সাঁড়া ইউনিয়নের ইসলাম পাড়া গ্রামের খাদিজা খাতুন বলেন, ‘নিজের বা বাচ্চার সমস্যা হলে আসি। মাঝে মাঝে ওষুধ পাই না।’

পাকশী কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি সনিয়া সুলতানা কাকলী বলেন, ‘দিনে ৩০-৪০ জন করে রোগী দেখি। ওষুধের ঘাটতি থাকলে রোগী কম আসে। গর্ভবতী নারীর ওজন ও রক্তচাপ মাপা, আয়রন, ভিটামিন ট্যাবলেটসহ নানা পরামর্শ এখান থেকে দেই। জটিল সমস্যা হলে রোগীকে হাসপাতালে রেফার করি।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক আসমা খাঁন বলেন, ‘কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা কার্যক্রম নিয়মিত তদারকি করা হয়। কোনো অভিযোগ আসলে দ্রুত সেটা খতিয়ে দেখা হয়।’

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা নিউ এরা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মঞ্জুর রহমান বিশ্বাস বলেন, ২০ থেকে ৩০ মিনিট হাঁটার দূরত্বে একজন মানুষ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে এবং সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে কেউ বঞ্চিত থাকছে না, এটাই ছিল ক্লিনিক গড়ার মূল উদ্দেশ্য। মডেল হিসেবে কমিউনিটি ক্লিনিক এ অঞ্চলে সুনাম কুড়িয়েছে।

এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১



বিষয়: পাবনা


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top