পূজা উদযাপন পরিষদের এক কর্মকর্তার আমন্ত্রণে করেছিল শিল্পীদের

সুজন হাসান | প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১৫:৫৫

সংগ্রহীত

চট্টগ্রামের একটি পূজামণ্ডপে ‘ইসলামিক গান’ গাওয়া হয় পূজা উদযাপন কমিটির যুগ্ন সম্পাদক সজল দত্তের আহ্বানে। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনসের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

এ ঘটনায় শহীদুল করিম খান ও নুরুল ইসলাম নামে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তারা দু’জন শহীদ তানজীমুল উম্মাহ ক্যাডেট মাদ্রাসা ও নুরুল ইসলাম দারুল ইরফান একাডেমির শিক্ষক বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এক সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার রইছ বলেন, ‘দুর্গোৎসবের মঞ্চে সংগীত পরিবেশনের পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল কিনা সেগুলোও আমরা খতিয়ে দেখছি।’ আটককৃতদের কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটিও তদন্তে আসবে।’ 

পুলিশের উপ-কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) মো. রইছ উদ্দিন বলেন, ‘পূজামণ্ডপে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এই পূজামণ্ডপে সন্ধ্যার পর থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল। উক্ত পূজামণ্ডপ কমিটিরই একজন সদস্য সজল দত্ত, যিনি পূজামণ্ডপ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক। তার অনুরোধে চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির কিছু সদস্য দুটি গান পরিবেশন করে। এর একটি গানের শব্দচয়ন উপস্থিত ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে বলে প্রতিয়মান হয়।’

তিনি বলেন, ‘জেএমসেন হলের মণ্ডপে পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সজল দত্তের আমন্ত্রণে চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির ছয়জন শিল্পী গান গেয়েছিলেন। সেই গানের কিছু কথা উপস্থিত মানুষদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত করেছে। ওই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে দু’জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদেরও আটক করা হবে।’ 

উপ-কমিশনার বলেন, ‘বিষয়টি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে যায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি অ্যাড্রেস করে। যে ছয়জন গান পরিবেশন করেছিল তাদের দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে পূজা উদযাপন কমিটির যে নেতা শিল্পীদের পূজামণ্ডপে দাওয়াত দিয়েছেন তাকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদের চেষ্টা করছি। তবে তাকে এখনো পাওয়া যায়নি।’

তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়া তাদের সেখানে যিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছিল তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তবে এখনো তাকে পাইনি।’

ইতিমধ্যে অনুষ্ঠানে পরিবেশন করা দুইটি গান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়াসহ উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top