ট্রাম্প ও কাৎজ—দুজনেই চেয়েছিলেন খামেনির মৃত্যু? সত্য নাকি হুমকি?

ইরানের বাঙ্কারে লুকিয়ে ছিলেন সর্বোচ্চ নেতা আর ইসরায়েল ঠিক করে রেখেছিল—দেখলেই ‘নির্মূল’ করবে তাকে! বিস্ফোরক এক তথ্য প্রকাশ করলেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ।

সরাসরি জানালেন—খামেনিকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল আমাদের। কিন্তু সুযোগ পাইনি! ইসরায়েলি চ্যানেল ১৩-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমরা যদি তাকে দেখতে পেতাম, তবে তাকে শেষ করে দিতাম। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতি লাগবে কিনা—সোজাসাপটা বললেন, না, এসব বিষয়ে আমাদের আমেরিকার অনুমতি লাগে না।

১২ দিনের ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের সময়েই ছিল এই হত্যার পরিকল্পনা। কিন্তু কাৎজ বলেন, খামেনি এত গভীরে বাঙ্কারে ছিলেন, আমরা তাকে খুঁজে পাইনি। তবে প্রশ্ন উঠেছে—খামেনি যদি গোপনে থাকেন, তাহলে সংঘাত চলাকালীন তাঁর ভিডিও ভাষণগুলো কীভাবে প্রকাশিত হলো?

আল জাজিরা জানিয়েছে—যদি খামেনিকে হত্যা করা হতো, তাহলে পুরো মধ্যপ্রাচ্য জ্বলত যুদ্ধের আগুনে। তিনি শুধু ইরানের নেতা নন, বরং বিশ্বের কোটি শিয়া মুসলমানের ধর্মীয় গুরু।

এমনকি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-ও ১৭ জুন এক পোস্টে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন: আমরা জানি খামেনি কোথায় লুকিয়ে আছেন। তিনি এখনো বেঁচে আছেন শুধু আমাদের সিদ্ধান্তে। তবে পরে তিনি বলেন, ইরানের সরকার পতনই তাদের লক্ষ্য নয়। সত্যিই কি খামেনিকে হত্যা করতে চেয়েছিল ইসরায়েল? নাকি এটি কৌশলী হুমকি ছিল?