ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ, স্বজনদের হাসপাতাল ঘেরাও
সুজন হাসান | প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২৪, ১৬:২০
                                        চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহানন্দা স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় তামিমা আক্তার নামে এক প্রসুতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মৃত্যুর ঘটনার পর কয়েক ঘন্টা ওই হাসপাতাল ঘেরাও করে রাখেন রোগীর স্বজন ও স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং তামিমার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের শান্তিমোড়স্থ মহানন্দা স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় এক প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ তুলেন স্বজনরা। এসময় হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় চিকিৎসক ও মালিক কর্তৃপক্ষ।
এর আগে সকালে প্রসব যন্ত্রণা শুরু হলে তামিমা খাতুনকে হাসপাতালে নিয়ে যায় তার পরিবার। পরে বেলা ১১টায় সন্তান প্রসব করেন তামিমা। বর্তমানে সদ্য জন্ম নেয়া শিশুটি ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। প্রসূতি মৃত্যুর বিচারের দাবি স্বজন ও স্থানীয়দের।
নিহত তামিমা খাতুন জেলা শহরের নয়নশুকা এলাকার রুবেল আলীর স্ত্রী। এক বছর আগে বিয়ে হওয়ার পর এটিই তামিমা-রুবেল দম্পতির প্রথম সন্তান। রুবেল আলী পেশায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করে
নিহতের ভাবি শামীমা খাতুন বলেন, আমরা টাকা দিয়ে চিকিৎসাসেবা নিতে এসেছি। নিশ্চয় আমরা কসাই খানাতে আসেনি। চিকিৎসায় অবহেলা করায় আমার ভাবি মারা গেছেন। আমরা এই নায্য বিচার চাই।
এবিষয়ে কথা বলতে রাজি নয় অভিযুক্ত চিকিৎসক। গাইনী চিকিৎসক শওকত আক্তার জাহান বৃষ্টি বলেন, এবিষয়ে আমি কোন কথা বলব না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেন।
হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহুরুল ইসলাম জানান, রোগীর স্বজনরা অনুমান করে ভুল চিকিৎসার কথা বলছেন। কিন্তু তাদের অভিযোগ সঠিক নয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা চিকিৎসকের কোন অবহেলা ছিল না।
সিভিল সার্জন ডা. এসএম মাহমুদুর রশিদ বলেন, এমন কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেহেদী হাসান বলেন, ওই বেসরকারি হাসপাতালের গোলযোগের খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয় এবং মৃত ওই প্রসূতির মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।