নানকের পালিয়ে যাওয়ার খবরে সীমান্তে পাহারা-তল্লাশি

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:৩৬

ছবি: সংগৃহীত

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাজনৈতিক পট পরিবর্তন ঘটে। দেশ ছেড়ে পালানোর হিড়িক পড়ে এমপি মন্ত্রী রাজনীতিকের। এসব খবরের কোনটা সঠিক আর কোনটা গুজব প্রমাণ না পেলে বলা মুশকিল। 

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। দলের হয়ে গুরু দায়িত্ব পালন করে দলীয় প্রধানের আস্থাভাজনে পরিণত হন। পঁচাত্তর পরবর্তীতে যারা ত্যাগী রাজনীতিবিদ তার মধ্যে নানক অন্যতম। তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যাচ্ছেন এমন গুঞ্জনে সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি ও অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার সীমান্ত দিয়ে নানক ভারতে পালিয়ে যাচ্ছেন এমন খবর ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই জুড়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ। সঙ্গে যোগ দেয় স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা। শত শত ছাত্র-জনতা সীমান্ত এলাকায় জড়ো হয়।

স্থানীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, দুপুরে তারা খবর পান জুড়ী শহরের গরুর বাজার এলাকার ঢাকা ইলেকট্রনিক্সের মালিক সাজিদ হোসেনের বাসায় রয়েছেন নানক। এরপর সেখানে খোঁজ নেওয়া হয়, পুলিশও তল্লাশি চালায়। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি।

সাজিদ বলন, ‘আমার বাসায় যে মেহমান এসেছেন তিনি জাহাঙ্গীর কবির নানক নন। আমার মামা শ্বশুর। নাম জাহাঙ্গীর হোসেন। মানুষ ভুল করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলে গুজব ছড়িয়ে দিয়েছেন।

মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার এমকেএইচ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘নানকের পালিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে দ্রুত অভিযান চালিয়েছি। তবে সন্ধান পাওয়া যায়নি। পুলিশ ও বিজিবি তৎপর আছে। আমাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে কেউ পালাতে পারবে না। নানকের যে খবরটি ছড়িয়েছে, আসলে তা গুজব।’

বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে সরকারি এত নজরদারির পরও এখনও কেন এত ধুম্রজাল। উড়ো খবর পেয়ে ভুয়া খবরও পরিবেশন বিপজ্জনক। খবরের নয়া মাধ্যম ফেসবুক। ফলে নেটিজেনদেরও তথ্য প্রকাশে সচেতন হতে হবে, দায় নিতে হবে। প্রশাসনকেও তৎপর থাকার তাগিদ দেন সচেতন মহল।

 



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top