আবিরের মতো মানুষকে বন্ধু হিসেবে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার
বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ১২:২২
দেশের সীমানা পেরিয়ে ওপার বাংলাতেও সমান জনপ্রিয় জয়া আহসান। আবীর চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব বহু বছরের, আর ইন্ডাস্ট্রিতে এই জুটির পর্দার রসায়নও দর্শকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। সম্প্রতি জয়া আহসান আবীর চট্টোপাধ্যায়ের প্রতি তার মুগ্ধতার এক নতুন মাত্রা প্রকাশ করেছেন।
জয়া জানান, “ইন্ডাস্ট্রিতে বহু মানুষের সঙ্গে কাজ করেছি, কিন্তু আবীর তাদের মধ্যে অন্যতম ব্যতিক্রমী। তিনি একজন অত্যন্ত নির্ঝঞ্ঝাট মানুষ। আমার সঙ্গে সবচেয়ে বেশি কাজ করা অভিনেতা ও, এবং সবচেয়ে বড় কথা হলো, ইন্ডাস্ট্রিতে আমার সবচেয়ে কমফোর্ট জোনও আবীর।”
তিনি আরও বলেন, “আমি কখনও দেখিনি আবীর কাউকে নিয়ে সমালোচনা করছে বা আড্ডায় কারও খারাপ বলছে। কেউ কষ্ট পেতে পারে এমন কথা আমি ওকে বলতে শুনিনি। তাই ওর জায়গা আমার জীবনে অনেক উপরে। ও একটু বেশিই সমালোচনাহীন, যদিও মাঝে মাঝে টক-ঝাল গল্প হলে সবারই ভালো লাগে। তবে ওর মধ্যেও নিশ্চয়ই তা আছে, শুধু আমরা দেখতে পাই না।”
জয়া উদাহরণ স্বরূপ বলেন, “‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ এর জন্য আমরা কিছু দিন আগে যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে গিয়েছিলাম। ওরে বাবা! আবীর ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি বদলে গেল। সবাই কেবল তার দিকে তাকাচ্ছে। আমাদের কথার কোনো প্রভাব নেই, কেউ আমাদের দিকে খেয়াল করছে না। সবাই মুগ্ধ নয়নে শুধু আবীরকে দেখছে। আমি নিজেও দেখছিলাম, আহা কী অপূর্ব দৃশ্য! ওর জন্য অনুরাগীরা কতটা পাগল—তাদের সামলানো এবং সবকিছু যত্নের সঙ্গে রাখা সত্যিই কঠিন কাজ, আর আবীর তা খুব সুন্দরভাবে মেনটেন করে।”
জয়া আরও যোগ করেন, “আসলে আবীরের থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। সংসার এবং কর্মজীবন পাশাপাশি চালানো সহজ নয়। কিন্তু আবীর সুন্দরভাবে পরিবারকে প্রাধান্য দিয়ে জীবনকে ব্যালান্স করে। শুধু তাই নয়, কাজের জায়গাটাও মেপে রাখে। তার মতো একজন মানুষকে বন্ধু হিসেবে পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। ওর অনুভূতি সবসময় সত্যিকারের, ফেক নয়। আমি চাই, ও সারাজীবন এমনই থাকুক। আমরা যা করতে পারি না, আবীর সেটিই যত্নের সঙ্গে করে দেখায়। কত সহজে আমরা বলি কর্মজীবন ও পরিবার একসঙ্গে সামলানো কঠিন—আবীর বারবার তা ভুল প্রমাণ করে দেখিয়েছে।”
এনএফ৭১/ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।