জামদানির যত্ন নেয়ার সহজ কৌশল

ডেস্ক রিপোর্ট | প্রকাশিত: ৩ নভেম্বর ২০২০, ১৮:৪৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাঙ্গালী নারীর পছন্দের তালিকার সবার প্রথমেই রয়েছে শাড়ী। শাড়ীর নাম আসলেই প্রথমে আসে জামদানির নাম।

জামদানির প্রাচুর্যতা এবং এর প্রতি রয়েছে বাঙ্গালি নারীর দুর্বলতা। নতুন নতুন পোশাকের ভীড়েও এতটুকু কমেনি, কিন্তু কথায় আছে না যার আভিজাত্য এবং প্রাচুর্যতা রয়েছে তার যত্নটাও একটু আলাদা ভাবে নিতে হয়, নয়তো এর প্রাচুর্যতা নষ্ট হতে পারে।

চলুন জেনে নেই জামদানির যত্ন নেয়ার সহজ কৌশল-

জামদানি শাড়ি কেনার পরেই প্রথমে এর পাড়ে ফলস লাগিয়ে নিতে হবে। তাহলে শাড়ীর পাড়ে ভাঁজ হবেনা, ফেটে যাবেনা এবং কুচি গুলোও থাকবে সুন্দর।

জামদানি তুলে রাখার সময় ভাঁজটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। জামদানি ভাঁজে আলাদা নিয়ম আছে, প্রথমে দুই ভাঁজ দিতে হবে নরমাল শাড়ির মতোই। এরপর একটা পাতালা ভাঁজ দিতে হবে। তারপর মাঝখানে ভেঙে একটা ভাঁজ দিয়ে হ্যাংগারে ঝুলিয়ে রাখতে হবে অথবা দুইপাশ থেকে ছোট ছোট ভাঁজ দিয়ে একটা আরেকটার ভেতরে দিয়ে দিতে হবে। জামদানি কখনও অন্য শাড়ির নিচে রাখা যাবে না। আলমারিতে রাখার সময় সাদা কাগজের প্যাকেটে রেখে দিলে শাড়িতে ফাংগাস পড়ে না।

জামদানি তৈরির সময় যে মাড় ব্যবহার করা হয় সেখানে যদি পানি লাগে তাহলে সুতাটা ছড়িয়ে যায়, সেজন্য জামদানিকে সব সময় পানি থেকে দূরে রাখতে হবে।

আলমারিতে তুলে রাখা জামদানী মাঝে মাঝে রোদে শুকাতে হবে এতে করে শাড়ি ভালো থাকবে।

জামদানি যদি নষ্ট হয়ে যায় বা ফ্যাকাশে হয়ে যায়, তাহলে কাঁটা ওয়াশে দিতে হবে এবং যারা জামদানি তৈরি করে তাদের কাছেই কাঁটা ওয়াশের জন্য দিতে হবে।

শখের জামদানি যখন কোনো অনুষ্ঠান হবে তখনই পরা হয়, কিন্তু জামদানি যত বেশি পরা হবে তত ভালো থাকবে। তাই মাঝে মাঝে জামদানি পরতে হবে।

অনেক সময় জামদানি বেশি ব্যবহারের ফলে রং নষ্ট হয়ে যায়। জামদানিতে কোনো রকম লিকুইড কিছু পরে দাগ লাগলে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে টেলকম পেউডার ছড়িয়ে, রোদে শুকিয়ে নিতে হবে।

এনএফ৭১/জেএস/২০২০



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top