বদঅভ্যাস ছাড়তে চান? এই সাত অভ্যাস আয়ত্তে আনলে বদলে যাবে আপনার জীবন...

শাকিল খান | প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২২:৪৭

ছবি: সংগৃহীত

স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের কোনো বিকল্প নেই। তাই পুরোনো বদ-অভ্যাস ছেড়ে নতুন কোনো ভালো অভ্যাসে জড়িয়ে পড়ার প্রতিজ্ঞা করুন। এতে আপনার জীবনকে ইতিবাচকভাবে বদলে দেবে। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেই অভ্যাসগুলো, যা আপনার জীবনের ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে—

. নিজের বিছানা নিজেই তৈরি করুন

এ বিষয়টি নিয়ে সুন্দর একটি ইংরেজি প্রবাদ আছে। যার বাংলা করলে দাঁড়ায়, আপনি যদি বিশ্ব বদলাতে চান, তাহলে আগে নিজের বিছানা থেকে শুরু করুন। অর্থাৎ রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিজের বিছানা নিজেই তৈরি করুন। আবার সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজের বিছানা গোছানোর ভেতর দিয়ে দিন শুরু করুন।

২. ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস পানি খান

প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে সবার আগে এক গ্লাস পানি খান। আমাদের শরীরের শতকরা ৬০ ভাগই পানি। সকালে এক গ্লাস পানি খাওয়ার মাধ্যমে আপনি শরীরকে তৈরি হওয়ার জন্য জানান দেন।

৩. সকালে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন

ভোরের আলো-হাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তা ছাড়া সকালবেলা আপনি যদি ১৫ থেকে ২০ মিনিট হেঁটে বা দৌড়ে আসেন, তাতে কিডনি থেকে কর্টিসল নামক স্টেরয়েড হয়মোন নিঃসরণ হবে। রক্তসঞ্চালন থেকে শুরু করে সুস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি একটা হরমোন কর্টিসল। সেই সঙ্গে আপনার শরীর আর মন- দুটোই চমৎকারভাবে জেগে উঠবে।

৪. ৫০ পৃষ্ঠা পড়ুন

এটা হতে পারে দৈনিক পত্রিকা, ধর্মগ্রন্থ, গল্পের বই, কারও জীবনী, জীবন দর্শন, ইতিহাস বা ভ্রমণকাহিনি। দৈনিক পড়ার অভ্যাস আপনার ‘মনোযোগ’ ধরে রাখতে সাহায্য করবে।

৫. গাছের যত্ন নিন

নিজের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি পোষা প্রাণী, রাস্তার কুকুর-বিড়ালকে খাবার দিন, আদর করুন বা নিদেনপক্ষে গাছের যত্ন নিন। গাছের গোড়ায় পানি ঢালুন বা রাস্তার ময়লা পরিষ্কার করুন। মনে রাখবেন কেবল নিজের প্রতিই নয়, প্রকৃতির অংশ হিসেবে অন্যান্য উপাদানের প্রতিও আপনার করণীয় আছে।

৬. মুঠোফোন থেকে দূরে

বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বড় আসক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে মুঠোফোন। গেম খেলা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অযথা স্ক্রলিং বা অর্থহীন চ্যাটিং- এগুলো থেকে যেন কোনো মুক্তি নেই। স্মার্টফোন থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখুন। ভার্চ্যুয়াল নয়, একচুয়াল জীবনে মনোনিবেশ করুন।

৭. ইতিবাচকতা ধরে রাখুন

দিন শেষে ইতিবাচকতা ধরে রাখুন। রাতে ঘুমানোর আগে সারা দিনে ভালো কী ঘটল, এমন তিনটা পয়েন্ট ছোট্ট করে লিখে ফেলুন। কৃতজ্ঞ হোন, ধন্যবাদ জ্ঞাপন করুন। কেননা আপনি যতই ইতিবাচকতার চর্চা করবেন, ততই ইতিবাচক জীবনযাপন করতে পারবেন। সবকিছু ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করার মানসিকতা রাখুন। জীবন অনেক সহজ হয়ে যাবে।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top