সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২ কার্তিক ১৪৩২

প্রাকৃতিকভাবে ঝরান বাড়তি মেদ

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:৩৬

সংগৃহীত

বাড়তি ওজন কমাতে অনেকেই নিয়মিত জিমে যান বা কঠোর ডায়েট মেনে চলেন। তবে প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসা পদ্ধতি আয়ুর্বেদ বলছে, শরীরের ভারসাম্য রক্ষা ও হজমশক্তি ঠিক রাখার মাধ্যমেই সুস্থভাবে ওজন কমানো সম্ভব। আয়ুর্বেদ কেবল বাহ্যিক মেদ কমায় না, বরং শরীরের ভেতরের সুস্থতাও বজায় রাখে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু সহজ আয়ুর্বেদিক অভ্যাস মেনে চললেই স্বাভাবিকভাবে ওজন হ্রাস করা যায়—

সকালে পান করুন ‘ডিটক্স ওয়াটার’

দিন শুরু করুন এক গ্লাস হালকা গরম পানি দিয়ে। এর সঙ্গে জিরা, ধনিয়া ও মৌরি মিশিয়ে পান করলে শরীর ডিটক্সিফাই হয় ও বিপাক হার বেড়ে যায়। এক গ্লাস পানিতে ১ চা চামচ জিরা, ১ চা চামচ ধনিয়া ও আধা চা চামচ মৌরি ফুটিয়ে নিয়ে হালকা ঠান্ডা করে পান করা যেতে পারে।

সময় মেনে খাবার খান

আয়ুর্বেদে সময় অনুযায়ী খাবার খাওয়ার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। দিনের প্রথম ও শেষ খাবারের মধ্যে অন্তত ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টার ব্যবধান রাখলে হজম প্রক্রিয়া আরও সক্রিয় হয়। যেমন, যদি রাত ৮টায় রাতের খাবার খান, তবে পরের দিন সকাল ১০টার আগে কিছু না খাওয়াই উত্তম।

ধীরে ও মনোযোগ দিয়ে খান

খাবার খাওয়ার সময় টিভি দেখা বা মোবাইল ব্যবহার না করে মনোযোগ দিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। ধীরে ধীরে খাবার চিবিয়ে খেলে হজম ভালো হয় এবং অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।

মসলার সঠিক ব্যবহার

রান্নাঘরের কিছু সাধারণ মসলা যেমন হলুদ, আদা, দারুচিনি ও গোলমরিচ শরীরের চর্বি ভাঙতে ও বিপাক ক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে। সকালে আদা ও মধু মিশ্রিত গরম পানি পান করাও কার্যকর একটি উপায়।

রাতে হালকা খাবার

রাতে হজমশক্তি তুলনামূলক দুর্বল থাকে, তাই ভারী খাবার খেলে চর্বি জমার সম্ভাবনা বাড়ে। আয়ুর্বেদ পরামর্শ দেয়, সূর্যাস্তের আগে বা সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে হালকা ও সহজপাচ্য খাবার খাওয়ার।

এছাড়া, নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম, হালকা যোগব্যায়াম ও হাঁটাচলাও আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে ওজন কমানোর অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ।

নিফ্লা৭১/ওতু



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top