• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


‘মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা ইফতারিতে অনায়াসে ভেজাল মেশায়’

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৩ এপ্রিল ২০২২, ০৪:৩৯

‘মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা ইফতারিতে অনায়াসে ভেজাল মেশায়’

প্রতিবছর রমজান মাসে রাজধানীসহ সারাদেশে প্রচুর ইফতারজাতীয় খাবার বিক্রি হয়। এ সুযোগে মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত লাভের আশায় খাদ্যে ভেজাল মেশায়। এসব খাদ্য এমন একটি নীরব ঘাতক, যা ধীরে ধীরে সুস্থ মানুষকে সুস্থ ধারা থেকে ছিনিয়ে নিচ্ছে। এতে দেশের অধিকাংশ মানুষ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছে।

এমতাবস্থায় পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনসহ (পবা) সমমনা ১০টি সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে শনিবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর চকবাজার জামে মসজিদের সামনে ‘স্বাস্থ্যসম্মত ইফতারির নিশ্চয়তা চাই, ভেজাল ও বিষমুক্ত খাদ্য নিশ্চিতে চাই কর্তৃপক্ষের জোরালো ভূমিকা’ শীর্ষক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

বক্তারা বলেন, রমজান মাসে ইফতারিতে যেসব খাদ্যপণ্যের সবচেয়ে বেশি চাহিদা সেগুলো হলো- শরবত, খেজুর, ছোলা, মুড়ি, বেসন, ডাল, দুধ, সেমাই, দেশী-বিদেশি ফল, শসা, টমেটো, বেগুন, লেবু, আটা ও ময়দা। রমজানের বাজার ধরার লক্ষ্যে এসব খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও মজুত করতে বিষাক্ত কেমিক্যাল, কৃত্রিম গ্রোথ হরমোন, ফরমালিন ও মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাপকহারে ব্যবহার করা হচ্ছে, যা আমাদের ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে ও আগামী প্রজন্ম বিভিন্ন গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে বড় হচ্ছে। জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ইফতারিসহ সব খাদ্য বিষ ও ভেজালমুক্ত করতে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট সবার
কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।

তারা আরও বলেন, এমন কোনো খাদ্যদ্রব্য নেই যাতে মারাত্মক ক্ষতিকর বিভিন্ন কেমিক্যাল মিশানো হয় না। উৎপাদন থেকে বাজারজাতকরণ প্রত্যেকটি স্তরেই এর ছড়াছড়ি রয়েছে। সহজপ্রাপ্যতা আইন প্রয়োগ ও যথাযথ নজরদারির অভাবে এসব ঘটেই চলছে, এতে বিভিন্ন রোগের প্রাদুভাব বেড়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় খাদ্য মন্ত্রণালয়কে ভেজাল খাবারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ও নিয়ম পালনে আন্তরিক হতে হবে। খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে বিপণন পর্যন্ত সব প্রক্রিয়া পরিদর্শনের আওতায় আনতে হবে। সরকারের একার পক্ষে ভেজাল প্রতিরোধ সম্ভব নয়, এর সঙ্গে প্রশাসন ও জনগণের সম্পৃক্ততা জরুরি।

এনএফ৭১/আরআর/২০২২




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top