• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


প্রয়োজনে পদ ছাড়বে, আপোস করবে না ইসি

কোনো কম্প্রোমাইজ হবে না, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০২৩, ২৩:৪৭

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশন কোনো আপোস করবে না। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে না পারলে তাঁরা দায়িত্ব থেকে সরে যাবেন। বৃহস্পতিবার (১৬মার্চ) দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর এসব কথা বলেন।

আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু হবে, আমরা গ্যারান্টি দিচ্ছি। আমরা যতক্ষণ আছি এই চেয়ারে, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কাজ করে যাব। এটি পুরো কমিশনের মনোভাব, এমনটা জানিয়ে মো. আলমগীর বলেন, ‌‘আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারব না, এটা বিশ্বাস করি না। আপনারা যদি হাইপোথিটিক্যালি বলেন যে এটা সম্ভব নয়, তখন আমরা সে দায়িত্ব পালন করব না।’

যদি সুষ্ঠু নির্বাচন না হয়, আপোস করতে হলে কী করবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে আলমগীর বলেন, ‘তখন আমাদের এই চেয়ারে দেখবেন না। আমরা যে কাজের জন্য শপথ করেছি, সেটা যদি না-ই করতে পারি, তাহলে এই চেয়ারে থাকব কেন?’ এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, এমন পরিস্থিতি হলে তাঁরা দায়িত্ব থেকে সরে যাবেন। কোনো আপোস করবেন না। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। 

‘দলীয় সরকারের অধীনে ভোট সুষ্ঠু হবে না’- এই ধারণা ভাঙার দায়িত্ব কার- এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘এটা ভাঙার দায়িত্ব রাজনীতিবিদদের। এখানে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই। এটা রাজনৈতিক সমস্যা। রাজনৈতিক সমস্যা, রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে। এ বিষয়টাতে আমাদের কিছু করার নেই। সংবিধানও সে দায়িত্ব আমাদের দেয়নি।’

দায়িত্ব শতভাগ পালনের অঙ্গীকার করে ইসি আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে ভোট সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকা। নির্বাচনে যারা অংশ নেবেন, তারা স্বাধীনভাবে প্রচার করতে পারেন, ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে এসে তাদের ইচ্ছেমতো পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন। ভোট গণনা যাতে সুষ্ঠুভাবে হয়, নির্বাচনের ফলাফল যাতে সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয় ভোটারদের ইচ্ছার, সেটা আমাদের দায়িত্ব। আমরা সে দায়িত্ব পালনের প্রতি আমাদের শতভাগ অঙ্গীকার রয়েছে। আমরা সেটা করব। আমরা শুধু এটুকু বলতে পারি যে, ধরনের সরকারই থাকুক না কেন, বর্তমান ইসি শততাগ সৎ, নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে।

এটা তো বিরোধী পক্ষ মূল্যায়ন করছে না- এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তারা কেন করছেন না তারাই ভাল বলতে পারবেন। তবে আমাদের এক বছরে কার্যক্রম দেখে তারা কি বলতে পারবে আমরা নিরপেক্ষতা ভঙ্গ করেছি? অথবা দুই প্রার্থীর প্রতি আচরণ দুই রকম হয়েছে?’  

দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ ভোট করা সম্ভব-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কমিশন চাইলে সেটা সম্ভব। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়। এটা নির্ভর করে নির্বাচন কমিশন কতটা সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে। আমরা যদি আমাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করি (আমাদের ইচ্ছা আছে) অবশ্যই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। অতীতে কেন পারেনি সেটা অতীতের কমিশন বলতে পারবেন। আগের কমিশন আর বর্তমান কমিশনের লোক হচ্ছে ভিন্ন। তাদের আচরণের সঙ্গে আমাদের আচরণ মিলবে না।

সংকট দূর করার জন্য সংলাপের দায়িত্ব কে নেবে? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংবিধান কি সেই দায়িত্ব আমাদের দিয়েছে? আমাদের বিভিন্ন অংশীজন, সুশীল সমাজের মতামত নেওয়ার ক্ষমতা তো দেওয়া আছে। এখন আর হচ্ছে না। হয়তো পরবর্তী সময়ে হতে পারে। সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হতে পারে। আবার কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হতে পারে। অর্থাৎ যাদের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি অথবা প্রয়োজন সুষ্ঠু, সুন্দর নির্বাচনের জন্য, তাদের সঙ্গে তো আমরা নির্বাচনের আগে হয়তো আবারও বসা হতে পারে। সেটা তো থাকতে পারে। এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এটা তো সব সময় আছে, যে নির্বাচন কমিশন যেকোনো সময় যেকোনো দলের সঙ্গে বসে বা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে বসেও সিদ্ধান্ত নিতে পারি। 

প্রশাসনের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবে? এমন প্রশ্নের জবাবে আলমগীর বলেন, গাইবান্ধা উপ-নির্বাচন তারা বড় উদাহরণ। প্রশাসন যারা কাজ করেছিলেন, যাদের গাফিলতি পাওয়া গেছে বা যারা অন্যায় কাজের সঙ্গে জড়িতছিলেন তাদের সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা চিঠি দিয়েছি এবং সেটা মনিটরিং করেছি। কতজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ইত্যাদি আমরা দুই/এক সপ্তাহ পরপরই মনিটর করছি। প্রার্থীর সংশ্লিষ্টতা তো আমরা বলতে পারি না। যারা জড়িত ছিল তারা প্রার্থীর কথা বলেনি। তারা কেন বললো না সেটাই তো রহস্য।

তাদেরকে বারবার প্রশ্ন করা হয়েছে, তদন্ত কর্মকর্তারা বারবার প্রশ্ন করেছেন এমন কাজ করলেন কেন, তারা বলেছেন আমরা স্বেচ্ছায় করেছি। এখন তারা যদি বলেন স্বেচ্ছায় করেছি। তারা যদি কারো নাম বলতো আমরা ব্যবস্থা নিতে পারতাম। এখানে তো অনুমান, আন্দাজভিত্তিক কোনো অ্যাকশন নেওয়া যায় না। যেকোনো প্রশাসানিক, বিচারিক বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হলে আপনাকে যা তদন্তে প্রমাণিত হবে তার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে হবে। 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top