• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


তালিকায় আছেন আরাভ খানও

দুবাইয়ে ৫৪৯ বাংলাদেশির সম্পদের খোঁজে দুদক

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০২৩, ১৯:৫১

আরাভ খান

বাংলাদেশ থেকে অর্থপাচার করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৯৭২টি প্রপার্টি কেনার অভিযোগ উঠেছে দুবাইয়ের গোল্ডেন ভিসাধারী ৫৪৯ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে। এই তালিকায় রয়েছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী এবং পুলিশ পরিদর্শক মামুন হত্যা মামলার পলাতক আসামি আরাভ খানের নামও। তাদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১৮ সালের ৯ জুলাই গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় উলুখোলা এলাকার একটি জঙ্গল থেকে পুলিশ পরিদর্শক মামুনের হাত-পা বাঁধা বস্তাবন্দি পোড়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই খুনের আসামি হয়ে দেশ ছেড়েছিলেন আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম।

দেশ থেকে পালিয়ে তিনি প্রথমে ভারত যান। কলকাতার একটি বস্তিতে কয়েকবছর বসবাস করার পর তিনি আরাভ খান নামে ভুয়া ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করে দুবাই চলে যান। আরব আমিরাত সরকার ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর তাকে রেসিডেন্ট পারমিট দেয়। এখন তিনি দুবাইয়ের বড় স্বর্ণ ব্যবসায়ী।

দুদক সূত্র জানায়, ৫৪৯ জন বাংলাদেশি মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ মূলধন সুইচ ব্যাংকসহ বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে পাচার করেন। পরবর্তীতে সেটা দুবাইয়ে স্থানান্তর করে সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষের গোল্ডেন ভিসা সুবিধায় ৯৭২টি প্রপার্টি কেনার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এসব অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য তিন উপপরিচালক রাম প্রসাদ মণ্ডল, আহসান উদ্দিন এবং ইসমাইল হোসেনের সমন্বয়ে একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে দুদক। তবে, কারা কারা ওই তালিকায় রয়েছে সেটা নিশ্চিত করেনি দুদক।

সংস্থাটির সূত্র বলছে, তালিকায় আলোচিত আরাভ খানসহ তার পেছনের পৃষ্ঠপোষকদের নামও রয়েছে। যাদের মাধ্যমে খুনের আসামি হয়েও বিদেশ পালিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে দুবাইয়ের রেসিডেন্স ভিসা প্রাপ্তি ও অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন আরাভ খান। যদিও এ বিষয়ে এখনই মন্তব্য করতে রাজি নয় দুদকের কোনো কর্তা ব্যক্তি।

দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের কাছে ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। ব্যক্তি যেই হয়ে থাকুক না কেন আমাদের কাজ হবে বস্তুনিষ্ঠ অনুসন্ধান করে অর্থপাচারকারীকে খুঁজে বের করা এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। অভিযোগ অনুসন্ধানে ইতোমধ্যে তিন সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে তারা কাজ শুরু করেছেন। অনুসন্ধানের স্বার্থে প্রয়োজনে দুবাইয়ে যেতেও বাধা নেই।

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top