গাজায় নিহত ৬২ হাজার ছাড়াল, সহায়তা নিতেও প্রাণহানি
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৯ আগষ্ট ২০২৫, ১২:১৭

গাজায় অব্যাহত ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৬২ হাজার ছাড়িয়েছে। শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৩৪৪ জন আহত হয়েছেন। এ নিয়ে আহতের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজারের বেশি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অনাহার ও অপুষ্টিতে গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজন মারা গেছেন—এর মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। অক্টোবর ২০২৩ থেকে এখন পর্যন্ত দুর্ভিক্ষে মারা গেছেন ২৬৩ জন, যাদের মধ্যে ১১২ জন শিশু।
তবে উদ্ধার কার্যক্রম ভীষণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। অনেক মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে বা রাস্তায় পড়ে আছেন, কিন্তু ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ এবং সরঞ্জামের অভাবে তাদের কাছে পৌঁছানো যাচ্ছে না।
মানবিক সহায়তা নিতেও প্রাণ হারাচ্ছেন সাধারণ ফিলিস্তিনিরা। শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় এ ধরনের হামলায় নিহত হয়েছেন ২৭ জন, আহত হয়েছেন ২৮১ জন। গত মে মাস থেকে জরুরি খাদ্য ও সরবরাহ নিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ২ হাজার মানুষ।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইতিমধ্যে ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে এই যুদ্ধ চলছে। মার্চে নতুন করে অভিযানে শুধু তখনই নিহত হয়েছেন আরও ১০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
এদিকে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইতিমধ্যে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
অন্যদিকে, গাজা যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির সর্বশেষ প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে হামাস। প্রস্তাব অনুযায়ী, ৬০ দিনের প্রাথমিক যুদ্ধবিরতিতে দুই দফায় প্রায় ৫০ জন ইসরায়েলি জিম্মির অর্ধেককে মুক্তি দেওয়া হবে। তবে ইসরায়েল বলছে—তারা কেবল তখনই চুক্তি মেনে নেবে, যদি সব জিম্মি একসঙ্গে মুক্তি পায়।
এদিকে গাজা শহরে ইসরায়েলি সেনাদের হামলা আরও তীব্র হয়েছে। বিমান হামলার পাশাপাশি ট্যাঙ্ক নিয়ে ঢুকে পড়েছে দক্ষিণ সাবরা পাড়ায়। ঘিরে রাখা হয়েছে জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুল ও ক্লিনিকও, যেখানে শত শত বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। মন্ত্রিসভার অনুমোদিত সামরিক পরিকল্পনা অনুযায়ী গাজা শহর দখল অভিযানে হাজারো মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন।
বিষয়: loss of life
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।