শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২

আজ আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস

প্রতিটি কন্যাশিশুর স্বপ্নের পাশে থাকবে রাষ্ট্র- তারেক রহমান

নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০২৫, ১২:১১

ছবি: সংগৃহীত

আজ শনিবার আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে বলেন, প্রতিটি কন্যাশিশুর স্বপ্নের পাশে রাষ্ট্র থাকবে—তার অংশীদার হয়ে, বাধা হয়ে নয়।

তারেক রহমান বলেন, “আজ আমরা উদযাপন করছি প্রতিটি কন্যাশিশুর শেখার, নেতৃত্ব দেওয়ার, মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার এবং স্বপ্ন দেখার অধিকার। একজন কন্যাসন্তানের বাবা হিসেবে আমি জানি, মেয়েদের ক্ষমতায়ন কোনো নীতি নয়, এটি ব্যক্তিগত দায়িত্ব ও অঙ্গীকার।”

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জন্য আমাদের স্বপ্ন হলো—যেখানে প্রতিটি মেয়ের জন্য একই স্বাধীনতা, সুযোগ এবং নিরাপত্তা থাকবে, যা যেকোনো বাবা-মা তাদের সন্তানের জন্য কামনা করেন।

তারেক রহমান ইতিহাসের উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে তৈরি পোশাক শিল্প কেবল একটি শিল্প নয়, বরং আশার প্রতীক হয়ে উঠেছিল। লক্ষ লক্ষ নারী আনুষ্ঠানিক কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের সুযোগ পেয়ে স্বাধীনতা, আয় ও সম্মান অর্জন করেছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় নারীর কল্যাণ ও উন্নয়নকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে নারী বিষয়ক মন্ত্রণালয়ও প্রতিষ্ঠিত হয়।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে মেয়েদের শিক্ষা অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। নবম শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের জন্য শিক্ষা বিনামূল্যে ঘোষণা করা হয় এবং ‘খাদ্যের বিনিময়ে শিক্ষা’ ও ‘টাকার বিনিময়ে শিক্ষা’ কর্মসূচির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মেয়েকে বিদ্যালয়ে রাখা সম্ভব হয়, যা অনেক পরিবারের ভাগ্য বদলে দেয়।

তারেক রহমানের উদ্ভাবনী ‘মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহায়তা প্রকল্প’ বা Female Secondary School Assistance Project প্রথমবারের মতো মেয়েদের বিদ্যালয়ে অংশগ্রহণের হার ছেলেদের সমান করে তোলে। প্রকল্পটি বাল্যবিবাহ কমিয়ে মেয়েদের শিক্ষার বৈপ্লবিক মডেল হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পায়।

বিএনপির ভবিষ্যৎ নীতিমালায় মেয়েদের জন্য প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি:

  1. পরিবারের নারী প্রধানের নামে ‘ফ্যামিলি কার্ড’ দিয়ে সহায়তা সরাসরি পৌঁছে দেওয়া।

  2. নারী উদ্যোক্তাদের জন্য এসএমই ঋণ, ব্যবসায় প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা।

  3. শিক্ষা ও কারিগরি প্রশিক্ষণের সুযোগ বৃদ্ধি।

  4. নারীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।

  5. মেয়েদের নিরাপত্তা, স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের সুরক্ষা।

  6. স্বাস্থ্য, গ্রামীণ উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানসহ পরিবার ও সামাজিক কল্যাণকে কেন্দ্রীয় নীতি হিসেবে গ্রহণ।

তারেক রহমান শেষ বলেন, “আমরা শূন্য বুলি দিই না—আমরা বলি বিশ্বাস, ঐতিহ্য ও অঙ্গীকারের ভিত্তিতে। প্রতিটি কন্যাশিশুর স্বপ্নের পাশে রাষ্ট্র থাকবে তার অংশীদার হয়ে, বাধা হয়ে নয়।”



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top