মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২

টঙ্গীতে নিখোঁজের চার দিন পর উদঘাটন: স্বেচ্ছায় পঞ্চগড় গিয়েছিলেন খতিব মহিবুল্লাহ মিয়াজী

গাজীপুর প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০২

ছবি: সংগৃহীত

 

গাজীপুরের টঙ্গীর টিঅ্যান্ডটি কলোনি জামে মসজিদের খতিব ও পেশ ইমাম মুফতি মহিবুল্লাহ মিয়াজীর নিখোঁজ হওয়া নিয়ে রহস্যের অবসান ঘটিয়েছে পুলিশ। নিখোঁজের চার দিন পর জানা গেছে, তিনি অপহৃত হননি—স্বেচ্ছায় পঞ্চগড়ে চলে গিয়েছিলেন। সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাতে তাকে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) তাকে আদালতে তোলা হবে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, তদন্তে প্রমাণ মিলেছে—মহিবুল্লাহকে ইসকন অপহরণ করেছে বলে যে অভিযোগ ওঠে, তা মিথ্যা। সিসিটিভি ফুটেজ, যাত্রাপথ ও মোবাইল ট্র্যাকিং বিশ্লেষণে দেখা গেছে তিনি নিজেই শ্যামলী পরিবহনের বাসে পঞ্চগড় যান। একই বাসের কয়েকজন যাত্রী ও সুপারভাইজারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে ইমাম মহিবুল্লাহ স্বীকার করেন, কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই তিনি হেঁটে বের হন এবং সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে করতে জয়দেবপুর, গাবতলী হয়ে বাসে চড়ে পঞ্চগড়ে পৌঁছান। সেখানে ঠাণ্ডার কারণে জামা-কাপড় খুলে ফেলেন এবং রাস্তার পাশে পড়ে থাকা একটি শিকল পায়ে বেঁধে শুয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা শিকল বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়।

এ ঘটনায় করা অপহরণ মামলার অভিযোগও এখন ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়েছে।

এদিকে আলজাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের সামি সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জানান, মহিবুল্লাহর অপহরণের দাবি অসঙ্গত। ফুটেজে দেখা যায়, ২২ অক্টোবর সকাল ৬টা ৫২ মিনিটে তিনি নিজ বাসা থেকে বের হন, এরপর দ্রুতগতিতে হেঁটে ফিলিং স্টেশনের সামনে যান। অপহরণের কোনো দৃশ্য পাওয়া যায়নি। স্থানীয় সিএনজি ফিলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

উল্লেখ্য, ২২ অক্টোবর সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন ইমাম মহিবুল্লাহ। পরদিন সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার সিতাগ্রাম এলাকায় মহাসড়কের পাশে শিকল বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে তার পরিবারের পক্ষ থেকে টঙ্গী পূর্ব থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছিল।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top