মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২

ফেসবুকে কোন ধরনের পোস্টে হতে পারে আইনি ঝুঁকি

স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা | প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ১১:১৫

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মানুষের জীবনযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এর মধ্যে ফেসবুক সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানে মানুষ ব্যক্তিগত যোগাযোগ থেকে শুরু করে ব্যবসায়িক কাজে পর্যন্ত নানা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন। তবে অসচেতনভাবে কোনো পোস্ট, মন্তব্য বা ভিডিও শেয়ার করলে আইনি ঝুঁকিতে পড়ার সম্ভাবনাও থাকে।

১. আপত্তিকর বা উসকানিমূলক পোস্ট

জাতীয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা, বিদ্বেষ ছড়ানো কিংবা মিথ্যা তথ্য দিয়ে উসকানি দেওয়ার মতো পোস্ট শাস্তিযোগ্য অপরাধ। শুধু পোস্ট নয়—এ ধরনের কন্টেন্ট শেয়ার বা কমেন্ট করলেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

উদাহরণ:

  • ধর্মীয় কটূক্তি

  • বর্ণ বা সম্প্রদায় নিয়ে উসকানিমূলক মন্তব্য

  • ভুল তথ্য ছড়িয়ে সংঘাত সৃষ্টি

২. মানহানিকর পোস্ট

কারো সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য প্রচার, ভিত্তিহীন অভিযোগ বা অপপ্রচার করা মানহানির আওতায় পড়ে। এতে জেল বা জরিমানার মতো শাস্তি হতে পারে।

উদাহরণ:

  • সরকারি কর্মকর্তা বা সেলিব্রিটিকে নিয়ে অপপ্রচার

  • অনুমতি ছাড়া কারো ব্যক্তিগত ছবি বা তথ্য প্রকাশ

  • গুজব ছড়িয়ে মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা

৩. প্রতারণা ও সাইবার অপরাধ

ফেসবুকে চাকরির লোভ দেখানো, লটারি জেতার কথা বলা, ভুয়া অফার প্রচার করা—এসব সাইবার প্রতারণার অপরাধ। অন্যের ব্যক্তিগত তথ্য বা ছবি চুরি করে ব্যবহার করাও আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ।

৪. মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়ানো

রাষ্ট্রীয় অস্থিরতা তৈরি বা মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য ভুয়া খবর, ছবি বা ভিডিও প্রকাশ প্রত্যক্ষভাবে দণ্ডনীয়।

উদাহরণ:

  • প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে ভুয়া খবর

  • রাজনৈতিক বা নির্বাচনী গুজব

  • জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী ভুয়া ভিডিও

অনলাইনে মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকলেও তা যেন কারও ক্ষতির কারণ না হয় এবং আইন লঙ্ঘন না হয়—সে বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। কোনো পোস্ট বা ভিডিও শেয়ার করার আগে উৎস যাচাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দায়িত্বশীল আচরণই পারে আপনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত ঝামেলা ও আইনি জটিলতা থেকে রক্ষা করতে।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top