মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২

শান্তিরক্ষী মিশনে ড্রোন হামলায় আহত ঘিওরের চুমকি

নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩:০৩

সংগৃহীত

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও আটজন শান্তিরক্ষী গুরুতর আহত হয়েছেন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) নিহত ও আহতদের পরিচয় প্রকাশ করে।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের পেচারকান্দা এলাকার চুমকি আক্তার। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন সদস্য এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

চুমকি আক্তারের স্বামী, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত মো. ইকরামুল হোসেন জানান, চলতি বছরের ৭ নভেম্বর তিনি সুদানে শান্তিরক্ষী মিশনে যোগ দেন। শনিবার বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় গ্রেনেডের কয়েকটি স্প্রিন্ট তার ডান হাত ও ডান পায়ে আঘাত করে। পরে তাকে হেলিকপ্টারে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দূরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চুমকি আক্তারের দুই বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে, নাম ইব্রাহিম আরাবী, যাকে তিনি শাশুড়ির কাছে রেখে মিশনে গেছেন।

চুমকি আক্তারের মা জহুরা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমার চার মেয়ের মধ্যে চুমকি সবার ছোট। তার ডান হাত আর পায়ে খুব আঘাত লেগেছে। ও বিদেশের হাসপাতালে ভর্তি। আমরা খুব দুশ্চিন্তায় আছি।” তিনি আরও জানান, তার স্বামী কৃষিকাজ করেন এবং তাদের কোনো ছেলে সন্তান নেই।

আইএসপিআরের তথ্যমতে, হামলায় নিহত শান্তিরক্ষীরা হলেন—

কর্পোরাল মো. মাসুদ রানা (নাটোর), সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম (কুড়িগ্রাম), সৈনিক শামীম রেজা (রাজবাড়ী), সৈনিক শান্ত মন্ডল (কুড়িগ্রাম), মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (কিশোরগঞ্জ) এবং লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া (গাইবান্ধা)।

আহত শান্তিরক্ষীরা হলেন—

লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান (কুষ্টিয়া), সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন (দিনাজপুর), কর্পোরাল আফরোজা পারভিন ইতি (ঢাকা), ল্যান্স কর্পোরাল মহিবুল ইসলাম (বরগুনা), সৈনিক মো. মেজবাউল কবির (কুড়িগ্রাম), মোসা. উম্মে হানি আক্তার (রংপুর), চুমকি আক্তার (মানিকগঞ্জ) এবং মো. মানাজির আহসান (নোয়াখালী)।

এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক নাজমুন আরা সুলতানা জানান, ঘটনার খবর পাওয়ার পর আহত চুমকি আক্তারের পরিবারের খোঁজখবর নিতে উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসন পরিবারের সার্বিক সহযোগিতায় পাশে থাকবে।

 

এনএফ৭১/ওতু



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top