বাংলাদেশকে ২৭ কোটি মার্কিন ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
Nasir Uddin | প্রকাশিত: ২৬ মে ২০২৫, ১৫:৫৫

বাংলাদেশকে ২৭ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার সমান ১২১ টাকা ৬০ পয়সা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ হাজার ২৮৩ কোটি টাকা। রোববার (২৫ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে এ সংক্রান্ত ঋণচুক্তি সই হয়।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন ঋণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ঋণের অর্থ ‘বাংলাদেশ সাসটেইনেবল ইমার্জেন্সি রিকভারি প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড রেসপন্স প্রকল্প’ (বি-স্ট্রং) বাস্তবায়নে ব্যয় করা হবে।
ইআরডির সিনিয়র সহকারী সচিব সাবরিনা শারমিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রকল্পটিতে মোট পাঁচটি খাতভিত্তিক কম্পোনেন্ট রয়েছে। ২০২৫ সালের জুলাই থেকে শুরু হয়ে ২০৩০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকবে:
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন পানি উন্নয়ন বোর্ড,
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন,
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর,
স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি),
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের আওতাধীন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ)।
প্রকল্পটি ২০২৫ সালের জুলাই থেকে শুরু হয়ে ২০৩০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন হবে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো গত আগস্টে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘটে যাওয়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট ও বাঁধ পুনর্র্নিমাণ এবং ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীকে সহায়তা ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা।
এই ঋণ বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ) থেকে নেওয়া হবে। ঋণটির মেয়াদ ৩০ বছর, যার মধ্যে প্রথম পাঁচ বছর থাকবে গ্রেস পিরিয়ড। এ সময় ঋণের আসল অর্থ পরিশোধ করতে হবে না। ঋণের বিপরীতে বার্ষিক ০.৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ এবং ১.২৫ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। উত্তোলন না করা অর্থের ওপর বার্ষিক সর্বোচ্চ ০.৫০ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট ফি প্রযোজ্য হবে, যদিও বিশ্বব্যাংক বর্তমানে এ ফি মওকুফ করে আসছে।
বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বহুপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগী। স্বাধীনতার পর থেকে সংস্থাটি বাংলাদেশে ৪৩.৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বর্তমানে, ১৩.১০ বিলিয়ন ডলারের ৪৭টি প্রকল্পে তারা অর্থায়ন করছে, যার মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার, অবকাঠামো ও জ্বালানি খাতের উন্নয়ন ইত্যাদি।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।