বৃহঃস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২

ঘুম ভাঙতেই বুক ব্যথা: হার্টের সংকেত নাকি সাধারণ সমস্যা?

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩:০৪

সংগৃহীত

ঘুম থেকে উঠে হঠাৎ বুকের মধ্যে ব্যথা বা অস্বস্তি অনুভব করলে প্রথমেই মনে হতে পারে—‘হার্টে সমস্যা তো নয়?’ অনেক সময় আমরা ভাবি, হয়তো গ্যাস্ট্রিক বা মানসিক চাপই এর কারণ। কিন্তু চিকিৎসকরা সতর্ক করে বলছেন, বুকের ব্যথা কখনোই হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। কারণ এর পেছনে থাকতে পারে সাধারণ সমস্যা বা মারাত্মক রোগ—দুটোই সম্ভব।

হার্টসংক্রান্ত সম্ভাব্য কারণ

হার্ট অ্যাটাক: হৃদযন্ত্রে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হলে মাঝখানে চাপ বা তীব্র ব্যথা হতে পারে।

অ্যাঞ্জাইনা: ধমনীতে চর্বি জমে রক্তপ্রবাহ কমলে হঠাৎ ব্যথা হতে পারে।

পেরিকার্ডাইটিস: হার্টের চারপাশের আবরণে প্রদাহ হলে শ্বাস নেওয়ার সময় বা শুয়ে থাকলে ব্যথা বেড়ে যায়।

মায়োকার্ডাইটিস: হার্টের পেশিতে প্রদাহ হলে হৃদস্পন্দন অনিয়মিত ও ব্যথা হতে পারে।

অর্টিক ডিসেকশন: প্রধান ধমনী ফেটে গেলে তীব্র ও বিপজ্জনক বুক ব্যথা হয়।

হজম-সম্পর্কিত কারণ

বুকজ্বালা: অ্যাসিড খাদ্যনালিতে উঠলে হার্টের ব্যথার মতো জ্বালা বা চাপ অনুভূত হয়।

ডিসফেজিয়া: খাবার গিলে অসুবিধা হলে বুকের মধ্যে চাপ বা ব্যথা হতে পারে।

প্যানক্রিয়াটাইটিস বা গলস্টোন: পেটের উপরের অংশের ব্যথা অনেক সময় বুকে ছড়িয়ে পড়ে।

শ্বাসতন্ত্র-সম্পর্কিত কারণ

পালমোনারি এম্বোলিজম: ফুসফুসের ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধলে হঠাৎ তীব্র ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট হয়।

প্লুরিসি, পালমোনারি হাইপারটেনশন: ফুসফুসে প্রদাহ বা উচ্চ রক্তচাপ থাকলেও বুকের চাপ বাড়ে।

ফুসফুসের ক্যানসার বা নিউমোথোরাক্স: গভীর শ্বাস বা কাশির সময় ব্যথা বেড়ে যায়।

অন্যান্য কারণ

কস্টোকন্ড্রাইটিস: পাঁজরের হাড় ও কার্টিলেজে প্রদাহ হলে হার্ট অ্যাটাকের মতো ব্যথা হতে পারে।

প্যানিক অ্যাটাক: হঠাৎ ভয়, হৃদকম্পন, দ্রুত শ্বাস নেওয়া ও ঘামের সঙ্গে বুকব্যথা হতে পারে।

পেশি বা আগের আঘাত: ঘুমের মধ্যে শরীর মোচড়ানো বা পুরনো আঘাতের কারণে ব্যথা হতে পারে।

সতর্কতার পরামর্শ

যদি ব্যথা হঠাৎ হয়, তীব্র হয়, কয়েক মিনিটের বেশি স্থায়ী থাকে বা সঙ্গে শ্বাসকষ্ট, ঘাম, মাথা ঘোরা থাকে—তাহলে দ্রুত জরুরি চিকিৎসা নিন।

সাধারণ হজমজনিত ব্যথা বা পেশির টানের কারণে ব্যথা ছোট এবং স্বল্পস্থায়ী হয়।

ঘুম ভাঙতেই বুক ব্যথা সবসময় হার্টের সংকেত নাও হতে পারে, তবে এর পেছনে মারাত্মক সমস্যা থাকতে পারে। সন্দেহ হলেই ডাক্তারকে দেখানো সবচেয়ে নিরাপদ।

সূত্র: হেলথলাইন

 

এনএফ৭১/ওতু



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top