ইরান থেকে বাংলাদেশিদের ফেরাতে সহযোগিতা করতে রাজি পাকিস্তান
Nasir Uddin | প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২৫, ১৬:০৪

ইরান-ইসরায়েলের চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ইরানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের নিরাপদে দেশে ফেরাতে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এত তেহরান থেকে বাংলাদেশিদের পাকিস্তান হয়ে দেশে ফেরাতে চায় সরকার। বাংলাদেশের প্রস্তাবে নীতিগত সম্মতি আছে পাকিস্তানের। এতে সহযোগিতা করতে সম্মত্রি হয়েছে দেশটি। তবে এখনো বাংলাদেশিদের ফেরার প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি ইসলামাবাদ।
তেহরান-ইসলামাবাদের নির্ভরযোগ্য কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে জানা গেছে, তেহরানের বাংলাদেশ দূতাবাস সেখানকার পাকিস্তান দূতাবাসে কূটনৈতিক পত্র দিয়েছে। সেই পত্রে তেহরান থেকে পাকিস্তান হয়ে বাংলাদেশিদের দেশে ফেরানোসহ প্রাথমিকভাবে ৯০ বাংলাদেশির তালিকা হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশিদের ফেরানো নিয়ে পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে যাচ্ছেন ইসলামাবাদে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসাইন খান। বুধবার (১৮ জুন) পাকিস্তানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে তিনি এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
ইসলামাবাদের একটি নির্ভরযোগ্য কূটনৈতিক সূত্র জানায়, তেহরান থেকে বাংলাদেশিদের ফেরানোর প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে পাকিস্তান। এজন্য ইরান থেকে ফিরতে চাওয়া বাংলাদেশিদের অনলাইনে ভিসার জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে। তবে চলমান পরিস্থিতিতে ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত থাকায় এটি সম্ভব নয় বলে পাকিস্তানকে জানানো হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দূতাবাসকে পরিস্থিতি বিবেচনায় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। ইন্টারনেট সংযোগের সীমাবদ্ধতায় সবসময় যোগাযোগ রাখা সম্ভব না হলেও, তেহরানে অবস্থিত বাংলাদেশিদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ চলছে।
ইরানে থাকা প্রায় ২ হাজার বাংলাদেশির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছেন তেহরানের ৪০০ জন নাগরিক। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই ফিরে আসতে পারেন। ইতোমধ্যে ২৮ জন বাংলাদেশির ১৩ জুন দেশে ফেরার কথা থাকলেও বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় তারা আটকে পড়েছেন।
ইরানের অন্যান্য অংশে আরও ৬০০ বাংলাদেশি রয়েছেন, যাদের অনেকে স্থানীয়ভাবে বিবাহ করে দীর্ঘদিন ধরে সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। এছাড়া প্রায় ৮০০ বাংলাদেশি অবৈধভাবে বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করছেন, যারা ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইরানে অবস্থান করছেন।
এ ছাড়া মানবপাচারের ট্রানজিট দেশ হিসেবে ইরানে প্রায় ৩০০ থেকে ৫০০ বাংলাদেশি নিয়মিতভাবে অবস্থান করেন, যারা অন্য দেশে পাচার হওয়ার অপেক্ষায় থাকেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় এদের জন্যও সহায়তা প্রদানের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।