সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২

জিরো টলারেন্স নীতি: ভারতে ফের ব্লক পাকিস্তানি তারকাদের সোশ্যাল অ্যাকাউন্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৭ জুলাই ২০২৫, ১৬:১১

ছবি: সংগৃহীত

ভারত জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে আবারও কড়া সিদ্ধান্ত নিল—ফের ব্লক করা হলো পাকিস্তানি তারকাদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট। কারা রয়েছেন এই তালিকায়? আর কেনই বা এই পদক্ষেপ?

ভারতে আবারও কঠোর পদক্ষেপ—ফের পাকিস্তানি তারকাদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্লক! এইবার তালিকায় শাহিদ আফ্রিদি, শোয়েব আখতার থেকে এআরওয়াই ডিজিটালের মতো নামি প্ল্যাটফর্ম পর্যন্ত!

জুলাই মাসে কিছু অ্যাকাউন্ট অস্থায়ীভাবে আনব্লক হলেও, জনগণের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হওয়ার পর ভারতের কেন্দ্র সরকার আবারও কড়া পদক্ষেপ নেয়। জরুরি অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা’র পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়—এই সমস্ত অ্যাকাউন্ট আবারও ব্লক করতে হবে।

ব্লক হওয়া অ্যাকাউন্টগুলোর মধ্যে আছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদি, স্পিডস্টার শোয়েব আখতার, এবং জনপ্রিয় চ্যানেল হাম টিভি, এআরওয়াই ডিজিটাল। সরকারি সূত্র বলছে, এখনও পর্যন্ত ভারতে ১৮ হাজারের বেশি পাকিস্তানি সোশ্যাল অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হয়েছে।

মূলত পেহেলগামে জঙ্গি হামলার পর থেকেই ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়। তাদের দাবি—এই হামলায় পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ মদদ ছিল। আর সেই সময় অনেক পাকিস্তানি তারকা ভারতের সামরিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছিলেন—তাদের অ্যাকাউন্টই এবার ব্লক লিস্টে।

একসময় যেসব পাকিস্তানি শিল্পীরা বলিউডে কাজ করতেন—আতিফ আসলাম, রাহাত ফতেহ আলি খান, মাহিরা খান, ফাওয়াদ খান, তারা এখন পুরোপুরি নিষিদ্ধ ভারতে। পুলওয়ামার পর ফিল্ম সংগঠনই দিয়েছিল স্পষ্ট নির্দেশ—বলিউডে আর নয় পাকিস্তানি!

হানিয়া আমির ভারতের একটি সিনেমায় কাজ করায় তাকেও নিষিদ্ধ করা হয়। দিলজিত দোসাঞ্জের ওপরও চলে চাপে-চাপ! ভারতের নীতি স্পষ্ট—বিনোদন আর জাতীয় নিরাপত্তা একসাথে চলবে না। তাহলে প্রশ্ন থেকেই যায়—সীমান্তের ওপার থেকে শিল্পীর নামে যদি আসে অপপ্রচার, তাহলে সেটা কি সত্যিই ‘শিল্পের স্বাধীনতা’? নাকি সেটা ‘নরম আগ্রাসন’? “সীমান্ত পেরিয়ে বিনোদনের নামে যদি আসে বিভ্রান্তি ও অপপ্রচার—তাহলে সেটা কি শুধু ‘শিল্প’ বলা যায়? নাকি এর পেছনে থাকে অন্য উদ্দেশ্য?



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top