নেপালে চলছে বিক্ষোভ: কেন জরুরি সরকার গঠন হলো?

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:১৪

ছবি: সংগৃহীত

২০২৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর, নেপালে শুরু হয় এক ভয়াবহ অস্থিরতা। সামাজিক মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা আর দীর্ঘদিনের অর্থনৈতিক দুর্দশার প্রতিবাদে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। বিক্ষোভকারীদের সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে প্রাণ হারান ৭২ জন, আহত হন হাজারের বেশি। এই সহিংসতা ছিল ২০০৮ সালে রাজতন্ত্র বিলুপ্তির পর দেশটিতে দেখা সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি।

এই প্রেক্ষাপটে, দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দিতে নেপালের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেন ৭৩ বছর বয়সী সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। সোমবার তিনি তার মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ তিন সদস্যকে শপথ পড়িয়েছেন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের বাইরে, কারণ বিক্ষোভকারীরা ভবনটিতে আগুন দিয়েছিল।

নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ওম প্রকাশ আরিয়াল, যিনি দুর্নীতিবিরোধী আইনজীবী হিসেবে পরিচিত। অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ রামেশ্বর খানাল। এছাড়া, নেপালের লোডশেডিং সমস্যা সমাধানে সুনাম কুড়ানো কুলমান ঘিসিং পেয়েছেন জ্বালানি, অবকাঠামো ও পরিবহন মন্ত্রণালয়।

আশ্চর্যজনকভাবে, এই বিশাল বিক্ষোভের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে একটি ভিডিও গেমারদের সামাজিক মাধ্যম। ‘হামি নেপাল’ নামের একটি সংগঠন ডিসকর্ড ও ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে হাজার হাজার তরুণকে একত্রিত করে এই প্রতিবাদের ডাক দিয়েছিল।

নতুন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি দুর্নীতিমুক্ত ভবিষ্যৎ গড়ার এবং আগামী ৫ মার্চের নির্বাচনের আগে বিক্ষোভকারীদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। এখন দেখার বিষয়, এই নতুন সরকার নেপালের দীর্ঘদিনের বেকারত্ব আর অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় কতটা সফল হয়।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top