বুধবার, ৭ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২

এসইও ব্যতীত ওয়েবসাইট চালক ব্যতীত গাড়ীর সমান

সাংবাদিকতার বিশাল সমুদ্রে এসো পরিশুদ্ধ হই

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ১৬:৩৫

ছবি: সংগৃহীত

সাংবাদিকতা ফরমায়েশি নয়। এটা মূর্খজনেরও পেশা নয়। তাইতো একজন সাংবাদিককে হতে হয় অনুসন্ধিৎসু। থাকতে হয় জ্ঞানের প্রবল ইচ্ছা বা গভীর আসক্তি। জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ সব জানা থাকতে হয়। যোগাযোগের আয়তনটাও প্রতিনিয়ত বাড়াতে হয়। সাংবাদিকতাকে বলা হয় রাষ্ট্রের চতুর্থস্তম্ভ। একজন সাংবাদিক কেবল গণমাধ্যমকর্মী নন, গবেষকও বটে। এটি তাড়াতাড়ির সাহিত্য, চলমান ইতিহাস। মার্কামারা লেট লতিফদের জায়গা এটা নয়।

সাংবাদিকতা প্রথাগত নিয়মের বেড়াজাল ছিন্ন করে নতুন ধাঁচে অগ্রসরমান। সাংবাদিকতার চেহারা বদলাচ্ছে। কৌশল ও ধরণ পাল্টাচ্ছে। সেই রুপ রঙ্গে খাপ খাওয়াতে হচ্ছে সাংবাদিককে। না হলে যে তিনি দৌড়ে টিকে থাকতে পারছেন না। এটা শিখবো না, ওটা করবোনা, এটা আমার কাজ নয় বলে আর রেহাই পাবেন না বাপু। ফলে আড়মোড়া ভেঙ্গে নিমেষে চাঙ্গা হতে হচ্ছে।

সাংবাদিকতার বিদ্যায়তনিক শিক্ষার পাশাপাশি ব্যবহারিক চর্চার সমন্বয় ঘটাতে হচ্ছে। হতে হচ্ছে মাল্টিটাস্কার। ফলে সাংবাদিকতার ব্যাকরণ ছাড়াও তাকে জানতে হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তির ভাষা। এখানে বিভিন্ন প্রসঙ্গের সংজ্ঞায়ন করা হয়েছে। একই কথা বার বার আলোচনা হয়েছে বিভিন্নভাবে। কারণ, এ কর্মযজ্ঞ নতুনদের বুঝার সুবিধার্থে, এক্সপার্টদের জন্য নয়।

seo(এসইও) গুগলের অ্যালগরিদম মেনে কন্টেন্ট অপটিমাইজড করার প্রক্রিয়া হলো সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন। এসইও হলো গুগল, ইয়াহু, বিং সার্চ ইঞ্জিনে ওয়েব সাইটের বিভিন্ন পেইজের অবস্থান ইম্প্রুভ করার প্রক্রিয়া। এটি হলো বিনামূল্যে সার্চ ইঞ্জিনের টপ পজিশনে থাকার দীর্ঘস্থায়ী একটি প্রক্রিয়া।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও হলো কোনো ওয়েবসাইটকে গুগল বা অন্য কোনো সার্চ ইঞ্জিনে খুঁজে পাওয়ার উপযোগী করে তোলার পদ্ধতি। যখন কোনো বিষয়ে গুগলে তথ্য খোঁজা হয়, তখন অনুসন্ধানের ফলাফলে কাঙ্ক্ষিত ওয়েবসাইটের তথ্য ও ঠিকানা আসে। কিন্তু কোন ওয়েবসাইটের তথ্য আসবে, তা নির্ভর করে এসইওর ওপর।

শব্দটির পূর্ণরূপ search engine optimization। গুগল, ইয়াহুসহ বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে কোনো তথ্য-উপাত্ত খোঁজার পর অনেকগুলো পেজ প্রদর্শিত হয়। এ পেজগুলোতে সার্চ ইঞ্জিনে ব্যবহারকারীর ব্যবহৃত শব্দগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত তথ্য-উপাত্তসমৃদ্ধ পেজ উপস্থিত হয়।

কোনো ওয়েবসাইটকে প্রথম পেজে বা প্রথম দিকে নিয়ে আসার জন্য যে পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়, তাকে এসইও বলে ৷ যেমন : করোনা পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে সাহেদ গ্রেপ্তার। এ-সংক্রান্ত সংবাদ কেউ যদি সার্চ ইঞ্জিনে খোজেন, তাহলে এসইও পদ্ধতি ব্যবহার করা ওয়েবসাইটের সংবাদের শিরোনামই আগে দেখা যাবে।

এসইও করেই ওয়েবসাইটকে ভালো অবস্থানে আনা সম্ভব। কারণ এসইও ব্যতীত ওয়েবসাইট চালক ব্যতীত গাড়ীর সমান। গুগল, ইয়াহু, বিং সার্চ কনসোলে ওয়েবসাইট যোগ করুন। গুগল ডিসকভার এসইও করুন। একটি ওয়েবসাইটকে সার্চ রেজাল্টে সবার আগে নিয়ে আসতে এসইও গুরুত্বপূর্ণ। গুগল সার্চ থেকে ভিজিটর পাওয়া যাবে। এসইও– ফাস্ট পেজে র‍্যাংক করাবে।

অর্গানিক বা ফ্রি ভিজিটর (পাঠক) পাবেন এসইও এর মাধ্যমে। অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিন র‍্যাংক করে অর্গানিক ট্রাফিক (Organic Traffic) জেনারেট করা যাবে।

ওয়েবসাইট ট্রাফিকের গুনমান এবং পরিমান বাড়ে ওয়েবসাইটে পর্যাপ্ত ট্রাফিক থাকলে। এসইও‘র মাধ্যমে ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানো যায়। ওয়েবসাইটের ৮০ পারসেন্ট আয় কেবল এসইও‘র মাধ্যমে করা সম্ভব। যেমন- ব্যাকলিং বিক্রি, গেস্ট পোস্টিং, ট্রাফিক সেল করে।

এসইও অপ্টিমাইজেশন ওয়েবসাইটের স্পিড বাড়াবে। ওয়েবসাইটের স্পিড- লোডিং স্পিড গুগল র‌্যাম্কিংয়ে ফ্যাক্টর। অর্গানিক বা ইউনিক ভিজিটর-Search Engine (Google, Bing, Yahoo, Yandex) এর মাধ্যমে যে ভিজিটর সাইটে আসে সেটি ইউনিক ভিজিটর।

গুগল অ্যালগরিদম (Google ranking Algorithm) হলো এমন একটি সিস্টেম, যার মাধ্যমে অনেক ওয়েবসাইটের মধ্যে সেরা ওয়েবসাইটগুলোকে খুঁজে বের করা হয়। গুগল সার্চের সেরা প্রথম পেজে র‍্যাংক (rank) করা হয়।

গুগল এলগরিদম গুগল সার্চ ইঞ্জিনকে শক্তিশালী ও ইউজার ফেন্ডলি করে। ইউজারের কাছে সম্ভাব্য সঠিক ওয়েব পেজ তুলে ধরে। পোষ্টগুলি গুগলের হোম পেজে থাকে, গুগল র‍্যাংকিং-এর শীর্ষে থাকে।

ট্রাফিক (traffic) ভিজিটর, যারা আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করবে। ওয়েব সাইটের ইনকাম নির্ভর করে ওয়েবসাইটের ভিজিটরের উপর। সহজ কথায় ট্রাফিক বলতে ওয়েবসাইটের দর্শক পাঠক সংখ্যাকে বোঝায় ।

রেফারেল ট্রাফিক : অন্য কোন ওয়েব সাইটে থাকা আপনার ওয়েব সাইটের লিংক ক্লিক করে যদি কেউ আপনার ওয়েব সাইটে চলে আসে।

সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং: একটি মার্কেটিং কৌশল যার মাধ্যমে আপনি গুগলকে টাকা দিয়ে আপনার ওয়েবসাইটকে গুগলের ফার্স্ট পেজে র‍্যাংক করাতে পারবেন। এটি গুগলের একটি পেইড মার্কেটিং মেথড। সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং এর ফলে দ্রুত আপনার কোম্পানির প্রচার প্রচারণা চালানো যায়।

গুগল অ্যানালেটিক্স (Google Analytics): ওয়েবসাইটের ট্র্যাফিক ট্র্যাক (পরীক্ষা) করা যায়। সাইটে কতজন ভিজিটর আছেন, কোন ধরনের ভিজিটর কোন দেশ থেকে ভিজিট করছেন, কোন সময়ে কোন বয়সের ভিজিটর বেশি, ভিউ সাইটের Watch Time বা Session Duration জানান দেয়।

একটি ওয়েবসাইটে প্রতিদিন কতজন ‘ভিজিটর‘ প্রবেশ করছে, কোন কোন লেখা বেশি পছন্দ করছে, ভিজিটর কি এক পাতা দেখেই চলে যাচ্ছেন নাকি তিনি অন্যান্য পাতাও ঘুরে দেখছেন, সার্চ ইঞ্জিন থেকে ভিজিটর কোন বিষয় লিখে সার্চ করছেন, কতক্ষণ থাকছেন ইত্যাদি জানার উপায় হচ্ছে আ্যানালিটিকস৷ এর মাধ্যমে রিয়েল টাইম ভিউয়ার মানে, তাৎক্ষণিকভাবে ওয়েবসাইটে কতজন, কোন পাতায়, কী দেখছেন তাও জানা যায়।

ওয়েবসাইটের বাউন্সরেট (Bounce Rate): একটি আর্টিকেল পড়তে এসে সেখান থেকেই ফিরে যাওয়া ও সাইটটির অন্য আর্টিকেল না পড়া। ওয়েবসাইটের কত শতাংশ দর্শক হোম পেজ দেখার পর ওয়েবসাইট ছেড়ে যায়।

গুগল ডিসকভার (Google Discover): গুগল নিউজ অ্যাপ্রুভ করবে, পাবলিশ করা আর্টিকেল গুগল নিউজ ফিডে দ্রুত দেখাবে।

Google adsense (গুগল অ্যাডসেন্স): অ্যাডসেন্স গুগলের একটি অ্যাপ্লিকেশন। অ্যাপ্লিকেশনটি গুগলের লভ্যাংশ অংশীদারি বিজ্ঞাপন প্রকল্প। অ্যাপ্লিকেশনটির যাথ্যমে গুগল বিশ্বের যেকোনো ওয়েবসাইটে তার নির্ধারণ করা বিজ্ঞাপন প্রদর্শনে সক্ষম ৷ অ্যাডসেন্সের বিজ্ঞাপন থেকে গুগলের অর্জিত অর্থের অংশভাগ ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ পায়।

Google Adsense হলো এডভার্টাইজিং পদ্ধতি, একটি এড নেটওয়ার্ক। গুগল এড শো করিয়ে সেখান থেকে ইনকাম করতে পারেন। এটি হলো গুগলের একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশ/প্রচার প্রোগ্রাম। এটি গুগলের একটি বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক সাইট।

গুগল এডসেন্স হলো গুগলের একটি সার্ভিস। যাদের ওয়েবসাইট আছে তাদের ইনকামের মাধ্যম। একটি বিজ্ঞাপন প্রচারক কোম্পানি। এটি হলো এমন একটি প্রোডাক্ট যা বিজ্ঞাপন দিয়ে কাজ করে। এটি বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দাতা প্রতিষ্ঠান থেকে বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে। বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠান থেকে গুগল যা আয় করবে তার তিন ভাগের দুই ভাগ বিজ্ঞাপন প্রচারককে দেবে।

যেমন- গুগল যদি বিজ্ঞাপন দাতার কাছ থেকে ১০০ ডলার নেয় তাহলে নিজে ৩৮ ডলার রেখে বিজ্ঞাপন প্রচারককে ৬৮ ডলার দিয়ে দেয়।

গুগলের এড পার্টনারশিপ প্লাটফর্মের নাম এডসেন্স নেওয়ার্ক। গুগুলে এড গ্রহণের প্লাটফর্ম এডওয়ার্ড। এডওয়ার্ডস থেকে গুগুল এড গ্রহণ করে এডসেন্সের মাধ্যমে তা পাবলিশ করে কন্টেন্টের মধ্যে। গুগলের নিজস্ব কোনো কন্টেন্ট টিম নেই।

গুগুল তার পার্টনারদের কন্টেন্টের মধ্যে এড দিয়ে আয় করে। গুগলের এডসেন্স পার্টনার হিসেবে আবেদন করলে, গুগুল রিভিউ করে পার্টনার করে নেয় বা রিজেক্ট করে। যারা পার্টনার হতে পারে তাদের সাথে এড রেভিনিউ এর ৬০% শেয়ার করে এবং নিজে ৪০% নেয়। এভাবেই আয় হয় এডসেন্স থেকে। 

গুগল অ্যাডসেন্স ও অ্যাডমব: ইউটিউব ও ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয় অ্যাডসেন্স সাভির্সের মাধ্যমে। মোবাইল অ্যাপে অ্যাডমব সাভির্সের মাধ্যমে পেজভিউ বাড়ানোর জন্য ইন্টারনাল লিঙ্কিং ভূমিকা রাখে।

গুগল অ্যাডসেন্স একাউন্ট খুলুন। গুগল এডসেন্স ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট করুন। বিভিন্ন কোম্পানি থেকে স্পন্সরশীপ পাবেন। গুগল এডসেন্স ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করুন। এসইও এক্সপার্ট, ওয়েব ডেভেলপার ও অনলাইন মার্কেটার নিয়োগ করুন। গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল কিওয়ার্ডের সার্চ ভলিউম থাকতে হবে (কি ওয়ার্ড রিসার্চ)।

শেয়ারিং সিস্টেম চালু করুন, শেয়ার বাটন যুক্ত করুন। ওয়েবসাইট বুষ্ট করুন। সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলিতে (ফেসবুক, টুইতার, ইনস্টাগ্রাম, লিংকউইন) ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার করে ভিজিটর আনতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটর বিষয়বস্তু শেয়ার করুন। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে টার্গেট করে লিংক শেয়ার করুন।

কনটেন্ট অপটিমাইজেশন: এক ধরনের প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয় কনটেন্টগুলো যেভাবে লেখা হয়েছে সেভাবে সঠিক বিষয়ে টার্গেটেড অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছানোর যোগ্য হয়েছে কি না। একটা কনটেন্টকে অডিয়েন্স এর কাছে পারফেক্ট করে তুলতে সঠিকভাবে কনটেন্ট অপটিমাইজেশন করা দরকার।

গুগল এএমপি অপ্টিমাইজেশন: ওয়েব সাইটের স্পিড গুগল র‍্যাকিং ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। গুগল এএমপি ওয়েবসাইটের পেইজ/স্পিড অপ্টিমাইজেশন করা পেইজ লোডিং টাইম কমিয়ে দেয়। আর এই স্পিড অপ্টিমাইজেশন করার জন্য ব্যবহার করা হয় গুগল এএমপি। Google AMP কাজ করে মূলত মোবাইল ডিভাইস ব্যবহারকারীদের জন্য। Accelerated Mobile Pages (AMP) (অ্যাক্সিলারেটেড মোবাইল পেজ)।        

ওয়েবসাইট গর্জিয়াস লুকিং, রেস্পন্সিভ, ইউজার ফ্রেন্ডলি ডিজাইন ও কনটেন্ট করুন। ওয়েবসাইটে কোন জটিলতা থাকা উচিত নয়। ইউজার ফ্রেন্ডলি সাইট নির্ভর করে ওয়েব ডেভেলপারের ওপর। সাইটের ডিজাইন ভাঙ্গাচুরা, অগোছালো থাকা ঠিক নয়। গুগল চায় ক্লিন, সাজানো গুছানো, লোডিং ফাস্ট ওয়েবসাইট রেস্পন্সিভ ডিজাইন। ওয়েবসাইট সার্চবক্স যুক্ত করুন।

মোবাইল ফ্রেন্ডলি ডিজাইন করুন। Mobile Friendly থিম বা টেমপ্লেট ব্যবহার করুন। কারণ ম্যাক্সিমাম ভিজিটর মোবাইল থেকে আসে। ইউজার ফ্রেন্ডলি প্রিমিয়াম থিম প্রয়োগ করুন। যে সাইটগুলো পিসি, ল্যাপটপ, ফোন, ট্যাবলেট সবকিছুতেই সমানভাবে লোড নিতে পারে। থিম বা টেমপ্লেট নির্বাচনে সতর্ক হোন। সহজেই নেভিগেশন করা যায় এমন থিম পছন্দ করুন।

এসইও (Seo Friendly) ফ্রেন্ডলি রাইটিংস প্রয়োগ করুন। এসইও ভিত্তিক আর্টিকেল পোস্ট করুন। নিয়মিত মানসম্মত এসইও অপ্টিমাইজড কন্টেন্ট/আর্টিকেল পাবলিশ করুন।

মেনু বার, নেভিগেশন ম্যানুবার (মেনু, লেআউট, সাইটবার, ক্যাটাগরি) সুন্দর করে সাজান। সাইডবারে আলাদাভাবে ক্যাটাগরির ব্যবস্থা করুন। গুগল অর্টিকেলটি বুস্ট করবে- গুগল ডিসকভার ফিড থেকে ভিজিটর বাড়বে।

navigation(নেভিগেশন): ওয়েবসাইটে এক পেজ থেকে আরেক পেজে এবং এক আধেয় থেকে আরেক আধেয়তে বিচরণকে নেভিগেশন বলে। মূলত হাইপারলিংকের মাধ্যমে নেভিগেশন হয়। 

navigation bar(নেভিগেশন বার): ওয়েবসাইটে হোম, রাজনীতি, দেশ, আন্তর্জাতিক প্রভৃতি যে ফোল্ডার বা সেকশন বা লিংকস ব্যান্ড থাকে, সেগুলোকে ওয়েবসাইটের ওপরে বা ডান পাশে সাজানো হয়। এভাবে সাজানোর ফলে যে স্তম্ভ তৈরি হয় তাকে নেভিগেশন বার বলে। 

ব্যাকলিংক BACK LINK: অন্য ওয়েবসাইটের মধ্যে থাকা আপনার ওয়েবসাইটের লিঙ্ককে বুঝায়।ব্যাকলিংক হচ্ছে এমন একটি প্রসেস যা একটি ওয়েবসাইট অন্য আরেকটি ওয়েবসাইটের লিংক রেফার করে। অর্থাৎ একটি ওয়েবসাইটকে অন্য আরেকটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রচার করা বুঝায়। কোন ওয়েবসাইটের পোস্ট দ্রুত র‌্যাঙ্ক করার জন্য ব্যাকলিঙ্ক গুরুত্বপূর্ণ।

নিশ রিলেটেড ওয়াবসাইটে গিয়ে কমেন্ট করা। ওয়াবসাইটে যে ধরনের কনটেন্ট পাবলিশ করেন সেই ধরনের ওয়াবসাইটগুলো খুঁজে বের করে কমেন্ট অপশনে কমেন্ট করে সাইটের লিংক হাইপার লিংক করে দিতে হয়। অর্থাৎ বিভিন্ন সাইটের কমেন্ট বক্সে ওয়েবসাইটের লিংক হাইপার লিংক করে দিতে হয়। আর্টিকেল পোস্টের মধ্যে Internal Linking করুন।

নিশ (NICHE) কী ও কেন: আপনি অনলাইনে যে সেক্টরেই কাজ করুন আপনাকে অবশ্যই নিশ সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে। কেননা নিশ সম্পর্কে ধারনা যদি ভালো জ্ঞান না থাকে তাহলে কখনোই অনলাইনে ভালো কিছু অর্জন করতে পারবেন না।

ব্লগার অথবা যারা এফিলিয়েট মার্কেটিং করে থাকেন তাদের প্রথমেই এই বিষয়টা নিয়ে ভাবা জরুরি যে তাদের নিশ কি হবে। কেননা এই সকল সেক্টরে যদি আপনি সফল হতে চান তাহলে অবশ্যই একটি সঠিক নিশ বাছাই করা জরুরি। আপনি যদি এই ক্ষেত্রে সঠিক একটি নিশ নির্বাচন করতে পারেন তাহলে আপনার সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেকগুন বেশি থাকবে।

যদি কোন ওয়েবসাইট বা কোন ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে চান তাহলে অবশ্যই একটি সঠিক নিশ আপনাকে নির্বাচন করে নিতেই হবে। নিশ নির্বাচনে আপনার সফলতা নির্ভর করবে।

নিশ (NICHE) বলতে মূলত নির্দিষ্ট কিছু বিভাগ বোঝায় যেমন- খেলাধুলা, টেকনোলজি, আইন, রান্না, জীবনী, ভ্রমণ ইত্যাদি। নিশ কথাটি সাধারণত বিভিন্নভাবে বোঝানো যেতে পারে। তবে নিশ বলতে বোঝানো হয়ে থাকে কোন বিষয়। ধরুন আপনার একটি এফিলিয়েট ওয়েবসাইট রয়েছে আপনি সেখানে কোন ধরনের প্রোডাক্ট বা কোন ক্যাটাগরির প্রোডাক্ট বিক্রি করবেন সেটাই হচ্ছে নিশ।

নিশ হলো যেকোন একটি বিষয় বা টপিক। ওয়েবসাইটে আপনার নিশ বা বিষয়ের উপর নির্ভর করেই আপনি প্রতিটি আর্টিকেল লিখবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং, এসইও বা ব্লগিং এর ক্ষেত্রে, নিশ মার্কেটিং হল একটি সুনির্দিষ্ট টপিক বা ক্যাটাগরি বা অডিয়েন্স টার্গেট করে ওয়েবসাইট, অ্যাড ক্যাম্পেইন তৈরি ও মার্কেটিং করার প্রক্রিয়া।

মার্কেটিং এর ভাষায় নিশ হল একটি শ্রেণির মানুষের, একটি বিশেষ অ্যাকটিভিটিকে কেন্দ্র করে তাদের নির্দিষ্ট চাহিদা পূরণ করার উদ্দেশ্যে কাজ করার প্রক্রিয়া। যখন কেউ একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে কন্টেন্ট তৈরি করেতে থাকেন তখন তার টার্গেট অডিয়েন্সও অটোমেটিক একই থাকে।

নিশ হল একটি ক্যাটাগরির শ্রোতা টার্গেট করে কন্টেন্ট তৈরি ও পাবলিশ করার উপায়। আপনি যদি নিজের এফিলিয়েট ওয়েবসাইটে টেকনোলজি রিলেটেড প্রোডাক্ট বিক্রি করে থাকেন তাহলে আপনার নিশ টেকনোলজি। আবার আপনি যদি কোন ইউটিউব চ্যানেল করবেন বলে ভেবে থাকেন এবং যদি স্বাস্থ্য রিলেটেড ভিডিও দিবেন বলে ভাবেন তাহলে আপনার নিশ হবে স্বাস্থ্য।

নিশ সিলেক্ট কেবল ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে তা নয়। আপনি যদি একজন ইউটিউবার হয়ে থাকেন তাও আপনাকে একটি নিশ টার্গেট করে সেই অনুযায়ী ভিডিও আপলোড করতে হবে। তা না করতে পারলে আপনার সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম।

ব্লগ নিশ–ব্লগের নিশ হলো ব্লগের টপিক। যে বিষয়–এ ব্লগ লেখা হয় তাকেই মূলত ব্লক নিশ বলা হয়ে থাকে।সহজ ভাবে বললে বলা যায়, ধরুন আপনি বিভিন্ন দেশে ড্রাগন ফল এক্সপোর্ট করছেন। আর এখানে ব্লগিং এর ভাষায় ড্রাগন হচ্ছে নিশ। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে, একটি ব্লগ সাইটের যে টপিকের উপর বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করা হয় তাকে সেই আর্টিকেলের ব্লগ নিশ বা ব্লগ টপিক বলা হয়।

আপনার ব্লগের টপিক, বিষয় বা ক্যাটাগরি যদি লোকদের কাছে জনপ্রিয় না হয় তাহলে ইন্টারনেটে সে বিষয়ে কেউ সার্চ করবে না। ফলে আপনার ওয়েবসাইটে সার্চ ইঞ্জিন থেকে ভিজিটর্স আসবে না। আর যদি ব্লগে ভিজিটর্স না আসে তাহলে ওয়েবসাইট থেকে ইনকামও সম্ভব না।

নিশ বা বিষয়গুলো নিয়ে ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করলে গুগল এডসেন্স থেকে অনেক ভালো সিপিসি (কস্ট পার ক্লিক) পাওয়া যাবে। আর গুগল এডসেন্স থেকে সিপিসি ভালো পাওয়ার অর্থ হলো, কম ট্রাফিকে বেশি ইনকাম।

Table of Content অপশন ব্যবহার করুন। আর্টিকেল লম্বা হলে কন্টেন্ট এর শুরুতে টেবিল অফ কন্টেন্ট অপশন ব্যবহার করুন। সূচিপত্র আকারে কন্টেন্ট হেডিং বা ফ্রি হেডিং ব্যবহার করুন।

মনিটাইজেশন monetization: ওয়েবসাইট ইনকাম উপযোগী করার প্রক্রিয়াকে ওয়েবসাইট মনিটাইজেশন বলে।মনিটাইজেশনের অর্থ হলো আপনার সাইট থেকে টাকা উপর্জন করা। কন্টেন্ট থেকে উপার্জন করলে সেটিকে মনিটাইজেশন বলে।

ইউটিউব থেকে আয়ের একটি প্রক্রিয়া মনিটাইজেশন।  ইউটিউব মনিটাইজেশনের কিছু নিয়ম আছে৷ ইউটিউবের মতো ফেসবুকেও ভিডিও মনিটাইজেশনের সুযোগ আছে।

ওয়েবপুশ নোটিফিকেশনঃ ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীদের নতুন বার্তা বা আপডেটেড কন্টেন্ট অবহিত করা। ব্যবহারকারীরা সহজেই এই নোটিফিকেশন allow অথবা disable করতে পারেন এবং নোটিফিকেশন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। ওয়েবপুশ একটি ঐচ্ছিক বৈশিষ্ট্য। সাইটগুলি আপনাকে বিজ্ঞপ্তি বা আপডেট তথ্য দিতে এই বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করতে পারে।

গেস্ট পোস্টিংঃ নিজের ওয়েবসাইটের পাশাপাশি অন্য ওয়েবসাইটের আর্টিকেল পোষ্ট করাকে গেস্ট পোস্টিং বলে।

স্পন্সর পোস্ট/স্পন্সরশীপ থেকে আয়ঃ যখন একটি কোম্পানি আপনাকে তাদের পণ্য স্পন্সর করতে বলে এবং আপনি তাদের পণ্য সম্পর্কে মার্কেটিং করে ভিজিটর বাড়ান।

মনে করুন আপনার একটি ওয়েবসাইট আছে। এখন কোন কোম্পানি বললো, তাদের কোন একটি পণ্যকে ভিজিটরদের নিকট স্পন্সর করতে হবে। যেন মানুষ তাদের পণ্য সম্পর্কে জানতে পারে। আপনি সেই পণ্যের প্রচার করে ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

লোকাল অ্যাডনেটওয়ার্ক/লোকাল স্পন্সর:  লোকাল কোম্পানির কাছে গিয়ে সরাসরি ডিল করতে পারেন। আপনার সাইটে তাদের ব্যানার লাগিয়ে একটি ফিক্সড অ্যামাউন্টের টাকা নিতে পারেন। ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের জন্য কিছু জায়গা বরাদ্দ রাখুন, বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন। লোকাল বিজ্ঞাপন দিয়ে ওয়েবসাইট থেকে আয় করুন। নিদিষ্ট স্পেস লোকাল প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া দিন।

আপনার আশপাশের ছোট কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান থেকে খুব সহজেই লোকাল স্পন্সর পেতে পারেন। তাদের সাথে যোগাযোগ করে জানাবেন যে আপনার একটি ওয়েবসাইট আছে, সেখানে মাসে এত ভিজিটর আসে, আমাকে মাসে এত টাকা দিতে হবে।

আপনার ওয়েবসাইটটি সেই কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের পছন্দ হলে কিছু টাকা কম করে আপনাকে একটি ব্যানার তৈরি করে দিবে অথবা ব্যানার আপনাকে তৈরি করে যুক্ত করে দিতে বলবে। এভাবেই ছোট কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান থেকে আয় করতে পারবেন। অনলাইন নিউজপোর্টালের আয়ের প্রধান উৎস হলো ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন। তাই আপনার নিউজ পোর্টালে যত বেশি ভিজিটর থাকতে আপনি তত বেশি বিজ্ঞাপন পাবেন।

ডোমেইন ও হোস্টিংঃ ডোমেইন হলো আপনার ওয়েবসাইটের নাম। হোস্টিং হলো এক ধরনের মেমোরি বা পিসি যেখানে আপনার ওয়েবসাইটের সবকিছু থাকে। ডোমেইন হলো ওয়েবসাইটের নাম ও ঠিকানা আর হোস্টিং হলো লেখালেখি বা কন্টেন্ট যেখানে থাকবে সেই জায়গা। আপনার বাড়ির ঠিকানা যদি হয় ১০১, শাহবাগ। তাহলে ১০১, শাহবাগ হলো ডোমেইন আর আপনার ফ্ল্যাট বা রুমগুলো হলো হোস্টিং কন্ট্রোল প্যানেলের আইডি এবং পাসওয়ার্ড এডমিন প্যানেল।

Domain name (ডোমেইন নেম): ইন্টারনেটের জগতে আসার জন্য যেকোনো ওয়েবসাইটকে সার্ভার তথা তথ্যভাপ্তারের সঙ্গে যুক্ত হতে হয়। সার্ভারের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়াকে বলে ডোমেইন ৷ আর যে নামে ওই ওয়েবসাইটটি থাকবে, তাকে বলে ডোমেইন নেম ৷ সহজ ভাষায়, ডোমেইন নেম হচ্ছে ওয়েবসাইটের নাম ওয়েবসাইটকে অনলাইনে আনার জন্য ডোমেইন কিনতে হয়। বিভিন্ন কোম্পানি ডোমেনইন কেনাবেচার কাজ করে থাকে।

Hosting(হোস্টিং): ইন্টারনেট জগতে ওয়েবসাইট সংরক্ষণ, সংযোগ, প্রদর্শন ও প্রবেশযোগ্য করার প্রযুক্তিগত পদ্ধতিকে হোস্টিং বলে। এ জন্য সার্ভারের স্থান কিনতে হয়৷ আকারভেদে হোস্টিংয়ের মূল্য নির্ধারিত হয়। বিভিন্ন দেশি-বিদেশি কোম্পানি অর্থের বিনিময়ে হোস্টিংয়ের সেবা দিয়ে থাকে৷ ওয়েবসাইটের পারফরম্যান্স, ডেটার সুরক্ষাসহ নানা সুবিধা তার হোস্টিংয়ের ওপর নির্ভর করে।

ওয়েবসাইটঃ একটি ডোমেইন নাম (gmail, facebook, youtube, seniorbd) এবং ডোমেইন এক্সটেনশন (.Com, info, .org, .net) এর সমন্বয়ে গঠিত যে ওয়েব এড্রেস তাকে ওয়েব সাইট বলে। সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইট- ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার। ভিডিও শেয়ারিং সাইট- ইউটিউব, ডেইলি মোশন।

লিখেছেন রাজীব রায়হান

গুগল সার্চ কনসোল Console: গুগলের তৈরি এক ধরনের টুল। যে Tools টির মাধ্যমে কোন নতুন ওয়েবসাইটকে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে add করা যায়।

কোনো নতুন ওয়েবসাইট বা ব্লগ গুগলে দেখানোর জন্য, প্রথমে গুগলকে জানাতে হবে যে, তার একটি ওয়েব সাইট আছে। সেটি সে গুগলের মাধ্যমে ইউজারদের কাছে পৌছে দিতে চায়। যাতে ইউজাররা তার সাইটটি সহজে গুগলের মাধ্যমে খুজেঁ পায়। এই জন্য প্রথমে গুগল সার্চ কনসোল এ গিয়ে নতুন ব্লগ বা ওয়েবসাইটটি add করতে হয়।

ওয়েব সাইটটি গুগল কনসোল এ যোগ করার সাথে সাথে, গুগল নিদির্ষ্ট ওয়েবসাইটের সকল ডাটা ইন্ডেক্স করে নেবে। সেটি পরে সার্চ ইঞ্জিনে ইউজারদের সামনে দেখাবে।

Google Search Console এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের উন্নতি এবং অবনতি খুজেঁ বের করা যায়। ওয়েবসাইট গুগলে কেমন পারফরমেন্স করছে। কত লোক সাইটে ভিজিট করছে। সাইটের কোন পেজ সর্বাধিক জনপ্রিয়। ওয়েবসাইটের সমস্যা খুজেঁ বের করতে এবং তা সংশোধন করতে সাহায্য করে।

গুগল ওয়েব মাষ্টার টুলসকে সাধারণত গুগল সার্চ কনসোল বলা হয়ে থাকে। গুগল সার্চ কনসোল ব্যবহার করে ওয়েবসাইটকে অপটিমাইজ করা অনেক সহজ হয়। ওয়েব সাইটের সকল তথ্য মনিটরিং করার সিস্টেমকে গুগল সার্চ কনসোল বলে।

গুগল সার্চ ইঞ্জিন আপনার ওয়েবসাইট কিভাবে পারর্ফাম করছে, ওয়েবসাইটকে উন্নতি করার জন্য কী পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ, ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট কত হচ্ছে জানান দেয়।

ওয়েবসাইটের কোন কোন আর্টিকেল ইনডেক্স হয়েছে, ওয়েবসাইটের কোন প্রোবলেম হয়েছে কিনা এসকল তথ্য জানার জন্য Google Search Console ব্যবহার করতে হবে।

কতজন ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছে, তারা কতক্ষণ পর্যন্ত ওয়েবসাইটে ছিল, তারা কোন পেজ ভিউ করেছে। সকল তথ্য আপনি Google Search Console থেকে পাবেন।

Google Analytics এর সকল ডাটা গুগল সার্চ কনসোল থেকে কন্ট্রোল করতে পারবেন। Google Webmaster Toolkit-GWT/ Google Webmaster Tools–GWT পরিবর্তিত নাম Google Search Console- GSC গুগল সার্চ কনসোল।

গুগল ট্রেন্ডসঃ trends.google.com সাইট থেকে ট্রেন্ডিং (চলতি ধারা) সার্চের তালিকা পাওয়া যায়। এ ছাড়া কোন শব্দ বেশি খোঁজা হয়, তা দুই বা ততোধিক শব্দের সঙ্গে তুলনা করা যায়। এতে কোন দেশে, কোন সময়ে, কোন বিষয়ে বেশি তথ্য খোঁজা হয়েছে, তা জানা যাবে।

Alexa(অ্যালেক্সা): একটি ওয়েবসাইট দেশীয় ও বৈশ্বিকভাবে কততম স্থানে আছে, শতকরা পেজ ভিউ ও বাউন্স রেট সংখ্যা কত প্রভৃতি বিষয় নিধারণকারী ওয়েবসাইটটির নাম আ্যালেক্সা। আলেক্সা নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের নানান তথ্যের ভিত্তিতে কাজ করে৷

অ্যালেক্সা র‍্যাংকিংঃ মূলত কোনও ওয়েবসাইট ও ব্লগের ট্রাফিক, পপুলারিটি ও প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে ধারণার জন্য ব্যবহার হয়। কোন একটি ওয়েবসাইট প্রতিদিন যত সংখ্যক লোক ভিজিট করে সেটি গণনা করে তার ভিত্তিতে সাইটের র‍্যাংক নির্ধারণ করে। সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিটকরা ওয়েবসাইটের ডাটা এনালাইসিস করে র‍্যাংকিং অবস্থান জানায়।

এলেক্সা র‍্যাংক নির্ভর করে আপনার সাইটে কোন উৎস থেকে ভিজিটর আসছে এবং তারা কত সময় আপনার সাইটে থাকছে ও সাথে সাথে এক পেজ থেকে আরেক পেজে যাচ্ছে কিনা বা পেজ ভিউ হচ্ছে কিনা। এলেক্সা র‍্যাংকিং হয় সরাসরি ট্রাফিক ভিজিটের সংখ্যার উপরে। যে সাইটে যত বেশি ভিজিটর তার র‍্যাংক এলেক্সাতে তত উপরে।

কিওয়ার্ড Keyword: গুগলে যা কিছু লিখে মানুষ সার্চ করে সেগুলোকে কিওয়ার্ড বলে। সঠিক কিওয়ার্ডবিহীন আর্টিকেল চালকবিহীন নৌকার মতো। কিওয়ার্ডের সার্চ ভলিউম থাকতে হবে। সঠিক কিওয়ার্ড, ফোকাস কিওয়ার্ড ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট র‍্যাংক করে। কোনো একটি সংবাদে বিষয়বস্তুর মূল শব্দগুলো (কি–ওয়ার্ডস) বিশেষভাবে যোগ করতে হয়। যেমন শিরোনামের শুরুতেই খবরের বিষয়বস্তুর মূল শব্দটি রাখতে হয়।

কিওয়ার্ড রিসার্চ, কিওয়ার্ড অ্যানালাইসিস করে জানতে হয় মানুষ কোন কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করে। এটি হলো এমন একটি শব্দ বা শব্দগুচ্ছ যা একটি আর্টিকেল বা একটি ওয়েবপেজের মূল বিষয়বস্তুকে নির্দেশ করে।

উদাহরণস্বরূপ, আপনি কফি তৈরি করবেন কিন্তু কফি কিভাবে তৈরি করতে হয় সেটা আপনি জানেন না। সুতরাং কিভাবে কফি তৈরি করবেন সে বিষয়ে জানতে হলে আপনাকে এই বিষয়ে কোন একটি আর্টিকেল পড়তে হবে অথবা একটি ভিডিও দেখতে হবে। যার জন্য আপনাকে এখন গুগল বা অন্য যেকোন সার্চ অপশনে এ বিষয়ে সার্চ করতে হবে।

ধরুন, আপনি গুগলে গিয়ে How to make a coffee লিখে সার্চ করলেন, এরপর কিভাবে কফি তৈরি করতে হয় সেই সম্পর্কে গুগল আপনাকে ওয়েবসাইট এর আর্টিকেল এবং ভিডিও প্রদর্শন করলো। অর্থাৎ How to make a coffee লিখে সার্চ করার জন্য আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেয়ে গেলেন।

এখানে How to make a coffee হলো একটি কিওয়ার্ড। আবার আপনি চাইলে শুধু Coffee লিখেও গুগলে সার্চ করতে পারেন, এক্ষেত্রে শুধু Coffee হবে একটি কিওয়ার্ড সহজ কথায় Keyword হলো ওই সকল শব্দ বা শব্দগুচ্ছ যা লিখে কেউ গুগল এ সার্চ করে।

Keyword মূলত দুই প্রকার। Head Terms Keyword, Long Tail Keyword. আপনি যদি গুগল বা অন্য কোন সার্চ ইঞ্জিনে শুধু Coffee লিখে সার্চ করেন তাহলে সেটি হচ্ছে Head Terms Keyword অপরদিকে যদি How to make a coffee লিখে সার্চ করেন তাহলে সেটি হবে Long Tail Keyword

সোজা বাংলায়, ছোট ছোট মূলশব্দকে বলে Head Terms Keyword এবং অনেক শব্দ একত্রে যুক্ত হয়ে যে শব্দগুচ্ছ বা বাক্য গঠিত হয় সেটিকে Long Tail Keyword বলা হয়।

কিওয়ার্ড স্টাফিংঃ কিওয়ার্ড অধিক মাত্রায় ব্যবহার করাকে কিওয়ার্ড স্টাফিং বলে ৷ একটি আর্টিকেলে বার বার কিওয়ার্ড ব্যবহার করার ফলে ভাল্যু কমে যায়। গুগলে স্পেম ধরে বসে।

কিওয়ার্ডঃ আপনি কোন কিওয়ার্ড টার্গেট করে ব্লগপোস্ট লিখেছেন এবং রিডার কোন কিওয়ার্ড সার্চ করে আপনার সাইটে এসেছেন এটা প্রধান বিষয়। এর পর দেখার সেই কিওয়ার্ড এর সিপিসি রেট কত।

সিপিসি (কস্ট পার ক্লিক) অর্থাৎ একটি এডে ক্লিক হলে আপনি কত টাকা পাবেন। সেটাই সিপিসি। তাহলে বুঝতেই পারছেন ভাল কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ না করলে যতই ভিজিটর আসুক আর এডে ক্লিক হোক তাতেও খুব একটা লাভ হবে না। সহজ কথায়, CPC হল প্রতি ক্লিকের খরচ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে রাখা Google Adsense বিজ্ঞাপনগুলিতে করা প্রতিটি ক্লিকের জন্য আমরা যে অর্থ উপার্জন করি। 

টাইটেলঃ টাইটেল হচ্ছে একটি আর্টিকেল এর প্রাণ। আপনার আর্টিকেলটি অডিয়েন্স এর কাছে কেমন জনপ্রিয়তা অর্জন করবে তা নির্ধারণ করে আপনার আর্টিকেল এর টাইটেল। একজন ভিজিটর যখন কোনো কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করে তখন সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম ১০ টি রেজাল্টের ভেতর যেটার টাইটেল সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় সেটাতেই সে ক্লিক করে। তাই টাইটেলের দিকে নজর না দিলে আপনি হারাতে পারেন অনেক ভিজিটর। টাইটেল অপটিমাইজেশন করুন সুন্দর ও পারফেক্ট ভাবে।

টাইটেল অপটিমাইজেশন এর ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখুন সেটি যেনো লং টেইল টাইটেল হয়। আর্টিকেলে এমন ছোট টাইটেল দিবেন না যাতে করে মুল বিষয়বস্তু বুঝতে অসুবিধা হয়। টাইটেলটিকে ভিজিটরের বোধগম্য করতে লং টেইল টাইটেল ব্যবহার করুন। তবে খেয়াল রাখবেন সেটা যেন ৫৫-৬০ ক্যারেক্টারের ভিতরেই থাকে।

ফোকাস কিওয়ার্ডকে সব সময় টাইটেলের শুরুতে ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। কারণ একজন ভিজিটর যখন কোনো কিওয়ার্ড লিখে সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করবে তখন আপনার আর্টিকেল যদি গুগলের ফার্স্ট পেজে থাকে এবং ফোকাস কিওয়ার্ডটি শুরুতেই থাকে তাহলে সে নিশ্চয়ই আপনার আর্টিকেল এই ক্লিক করবে।

টাইটেলকে আকর্ষণীয় করতে টাইটেলের ভেতরে পাওয়ার ওয়ার্ড রাখুন। কেননা পাওয়ার ওয়ার্ড ব্যবহারের ফলে আর্টিকেলের ভেতরে ঢুকতে ভিজিটরের আগ্রহ বাড়ে। কিছু পাওয়ার ওয়ার্ড হলো  new, most, exclusive, wonderful, ইত্যাদি।

টাইটেলকে ইউজার ফ্রেন্ডলি করতে নাম্বার ব্যবহার করুন। যেমন: ৭টি উপায়ে আপনার ত্বককে করতে পারবেন আরও উজ্জ্বল। নাম্বার ব্যবহারের ফলে এটি একই সাথে ইউজার এবং গুগলের কাছেও অধিক প্রিয়।ভিজিটরের মনে যেন টাইটেলটি দেখলেই আপনার আর্টিকেলটি সম্পর্কে পজিটিভ চিন্তা আসে তাই টাইটেলটিকে আকর্ষণীয় এবং অর্থপূর্ণভাবে তৈরি করুন।

metadescription(মেটাডেসক্রিপশন): সহজ কথায়, সার্চ ইঞ্জিনের পর, প্রদর্শিত তালিকায় মূল শিরোনামের নিচে কিছু বাক্য থাকে, এটাকেই । মেটাডেসক্রিপশন বলে ৷

মেটা ডেসক্রিপশন ইউনিক ভাবে অপটিমাইজড করা গুরুত্বপূর্ণ। কারন এটি সার্চ ইঞ্জিনকে ধারণা দেয় যে আপনার আর্টিকেলটির ভেতরে কি আছে। মেটা ডেসক্রিপশন হলো একটি আর্টিকেল এর সারাংশ। এটি সাধারণত ২-৩ লাইনের ভেতর লিখতে হয়। মেটা ডেসক্রিপশন লেখার যদিও কোনো লিমিটেশন নেই তবুও এটি ১৫৫-১৬০ ক্যারেক্টার এর ভেতরে করা উচিত। কারণ আপনি যেভাবেই মেটা ডেসক্রিপশন লিখুন না কেনো গুগল সব সময় ১৫৫-১৬০ ক্যারেক্টারই ভিজিটরের সামনে শো করবে। মেটা ডেসক্রিপশনে কিওয়ার্ড অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে।

একজন গ্রাহক যখন কোনো কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করবে তখন সেটা যদি মেটা ডেসক্রিপশন এর ভেতর থাকে তাহলে কিওয়ার্ডটিকে বোল্ড করে দেখাবে। তাই মেটা ডেসক্রিপশনকে এমন ভাবে লিখতে হবে যেনো একজন গ্রাহক কিওয়ার্ড সার্চ করার ফলে যখন আপনার কনটেন্ট এর মেটা ডেসক্রিপশনটা দেখবে তখন সে বুঝতে পারে এই আর্টিকেলটা তার জন্য তথ্যবহুল। তাই সুন্দর এবং ইউনিকভাবে মেটা ডেসক্রিপশন অপটিমাইজেশন করুন।

ডুপ্লিকেট Duplicate কনটেন্ট পরিহারঃ

আপনার ওয়েবসাইট এ যদি আপনি ডুপ্লিকেট কনটেন্ট পাবলিশ করেন তাহলে সাথে সাথে গুগল সেটা বুঝে যায়। তাই অবশ্যই ইউনিক কন্টেন্ট পাবলিশ করুন। কনটেন্ট চেক করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ফ্রি এবং পেইড টুলস রয়েছে। আপনি তাইলে কনটেন্ট পাবলিশ করার পূর্বে ফ্রি টুলস দিয়ে চেক করে নিতে পারেন।

১০০০ হাজার ওয়ার্ড পর্যন্ত ফ্রি টুলসগুলোতে চেক করা যায়। এই সীমাবদ্ধতা কাটাতে আপনি পেইড টুলসগুলো ব্যবহার করতে পারেন। পেইড টুলসগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কপিস্কেপ। ডুপ্লিকেট বা কপি কোনো কন্টেন্ট গুগলে পাবলিশ করলে এটি কখনোই র‍্যাংক করবে না। তাই ডুপ্লিকেট কনটেন্ট পাবলিশ করা থেকে বিরত থাকুন।

ইমেজঃ একটি কন্টেন্ট এ ইমেজ অপ্টিমাইজড করার ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে যেনো বেশি ইমেজ ব্যবহার করা না হয়। কারণ অতিরিক্ত ইমেজ ব্যবহার করার ফলে ওয়েবসাইট এর লোডিং স্পিড কমে যেতে পারে। ইমেজ এড করার ভালো মন্দ দুই দিকই রয়েছে। তাই কনটেন্ট অপটিমাইজেশন এর ক্ষেত্রে ইমেজ সঠিক নিয়ম মেনে এড করুন।

ইন্টারনাল লিংকঃ ইন্টারনাল লিংক হলো সেই ধরনের লিংক যে লিংকে ক্লিক করলে একজন ভিজিটর আপনার প্রেজেন্ট আর্টিকেল থেকে আপনার ওয়েবসাইটেরই অন্য আর্টিকেলে প্রবেশ করবে। ইনটার্নাল লিংক ব্যবহার করা হয় একই ওয়েবসাইট এর অন্য একটা আর্টিকেলে অথবা পেইজে।

ধরুন আপনি একটি আর্টিকেল লিখলেন, আপনার লেখার সাথে যদি আপনার ওয়েবসাইটের অন্য আরেকটি আর্টিকেলের সাদৃশ্য থাকে তাহলে আপনি সেখানে লিংক এড করে দিলেন। আর এটাই হলো ইন্টারনাল লিংক। ইনটার্নাল লিংক একটি কন্টেন্ট এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি ব্যবহার এর মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইট এ একজন ভিজিটরকে বেশি সময় ধরে স্টে করাতে পারবেন। যা আপনার ওয়েবসাইটকে গুগলে র‍্যাংক করাতে ভূমিকা পালন করবে।

এক্সটার্নাল লিংকঃ এক্সটার্নাল লিংক হলো আপনার ওয়েবসাইটে অন্য আরেকটি ওয়েবসাইটের লিংক এড করে দেওয়া। কন্টেন্ট এর সোর্স উল্লেখ করতে অনেক সময় এক্সটার্নাল লিংক ব্যবহার করা হয়। ধরুন আপনি আপনার আর্টিকেলে এমন একটি তথ্য দিয়েছেন যেটা আপনি প্রথম আলো থেকে কালেক্ট করেছেন। এক্ষেত্রে ভিজিটরদের আস্থা বাড়াতে নিউজটির সাথে আপনি প্রথম আলো ওয়েবসাইট এর লিংক এড করে দিলেন। আর এটাই হলো এক্সটার্নাল লিংক।

কিংবা আপনি কোন ফুড রিভিউ নিয়ে লিখছেন।  সে ক্ষেত্রে আপনি যে রেস্টুরেন্ট থেকে ফুডগুলো কিনেছেন সেই রেস্টুরেন্টের লিংক আপনি আপনার ওয়েবসাইটে দিয়ে দিলেন। এগুলো হলো এক্সটার্নাল লিংক। এক্সটার্নাল লিংক এর মাধ্যমে একজন ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইট থেকে আপনার রেফার করা ওয়েবসাইটে চলে যায়। তাই ফেমাস ওয়েবসাইট থেকে আপনার ওয়েবসাইট এর এক্সটার্নাল লিংক বানান। যাতে তাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসে।

hyperlink(হাইপারলিংক): এমন একটি ইলেক্ট্রনিক চিহ্ন বা ভাষা যাতে নির্দিষ্ট ওয়েব ঠিকানা লুকায়িত থাকে। ওয়েব ঠিকানার প্রাযুক্তিক নাম ইউনিফর্ম রিসোর্স লোকেটর (ইউআরএল)। যখনই হাইপারলিংকযুক্ত কোথাও ক্লিক করা হয়, তখন ওয়েব ব্রাউজার (ফায়ারফক্স, ক্রোম, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ইত্যাদি) ঠিকানাটা উদ্ঘাটন করে৷ তারপর পাঠককে ওই ঠিকানা পর্যন্ত নিয়ে যায়৷ 

hypertexuality(হাইপারটেক্সুয়ালিটি): এটি অনলাইন সংরাদমাধ্যম বা সাংবাদিকতার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। সাধ্যরণত, ওয়েবসাইটে একটি পেজ থেকে আরেক পেজে বা এক সংবাদ থেকে আরেক সংবাদে যাওয়া যায়৷ এ সম্ভব হয় হাইপারটেক্সুয়ালিটির কারণে ৷ অর্থাৎ ওয়েবসাইটের নির্দিষ্ট টেক্সট হাইপারলিংক করে বিভিন্ন পেজ বা সংবাদের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়৷ নির্দিষ্ট টেক্সটে ক্লিক করে দর্শক বা পাঠক কাঙ্ক্ষিত স্থানে যেতে পারেন৷

interactive journalism(মিথস্ক্রিয়ামূলক সাংবাদিকতা): একই সঙ্গে অডিও, ভিডিও, ছবি, গ্রাফিকস, টেক্সট দিয়ে তথ্য উপস্থাপন করাকে ইন্টারেক্টিভ জার্নালিজম বলে ৷ এখানে কোনো সংবাদ সম্পর্কে পাঠকের মতামত দেওয়ার সুযোগ থাকে৷

links band(লিংকস ব্যান্ড): ওয়েবসাইটে হোম, রাজনীতি, দেশ, আন্তর্জাতিক প্রভৃতি নামে ফোল্ডারগুলো থাকে, তাকে লিংকস ব্যান্ডও বলে। আবার সংবাদের ট্যাগ হিসেবে ব্যবহৃত ফোল্ডারগুলোকে লিংকস ব্যান্ড নামে অভিহিত করা যায়৷ লিংকস ব্যান্ডকে সেকশন বা মেন্যুও বলা হয়৷ একটি ফোল্ডার বা সেকশনের অধীনে আরও অনেক সেকশন থাকলে, তাকে সাব সেকশন বলা হয়। লিংকস ব্যান্ডকে ওপরে বা ডান পাশে সাজানো যায়। এভাবে সাজানোর ফলে যে স্তম্ভ তৈরি হয় তাকে নেভিগেশন বার(navigation bar) বলে। 

mouseover(মাউসওভার): কোনো সেকশন বা লিংকস ব্যান্ডে কার্সর রাখলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সাব-সেকশনগুলো প্রদর্শিত হয়, একে বলে মাউসওভার৷ প্রদর্শিত সাব-সেকশনগুলো উলম্ব বা অনুভূমিক হতে প্যরে৷

smo(এসএমও): শব্দটির পূর্ণরূপ social media optimization। পোর্টালে দর্শকসংখ্যা বাড়ালোর জন্য যেমন বিভিন্ন কৌশল গ্রহণ করতে হয়, তেমনি সামাজিক মাধ্যমেও কোনো সংবাদের প্রতি পাঠকদের আগ্রহী করার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে হয়৷ যেমন : হ্যাশট্যাগ ব্যবহার, বিভিন্নজনকে সংবাদ ট্যাগ করা, সংবাদ শেয়ার করার সময় আগ্রহোদ্দীপক ক্যাপশন প্রভৃতি ৷ এসব পদ্ধতিতে এসএমও বলে ৷

tag(ট্যাগ): কোনো সংবাদ বা কনটেন্টের নিচে বা আশপাশে ওই সংবাদ বা কনটেন্টের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পর্কিত বিষয়ের এক বা দুই শব্দের যে লিংকস ব্যান্ড করা হয়, তাকে ট্যাগ বলে ৷

three click rule(তিন ক্লিক নীতি): ওয়েবসাইটের একটি সংবাদে পৌঁছানোর জন্য বা একটি সংবাদ পড়ার জন্য যাতে তিন ক্লিকের বেশি ব্যবহার করা না লাগে, সেভাবে তথ্য উপস্থাপন করার পরামর্শ দেন কোনো কোনো ওয়েবসাইট বিশেষজ্ঞ। যত কম ক্লিক, ততই পেশি গ্রহণযোগ্যতা। একে বলে থ্রি ক্লিক রুল। পাঠক  যা খুঁজতে চান, তা পেতে যদি তিন ক্লিকের বেশি লাগে, তাহলে তিনি বিরক্ত হতে পারেন। আর বিরক্ত হলে ওই ওয়েবসাইট ত্যাগ করতে পারেন।

যেমন : কোনো সংবাদ দীর্ঘ হলে তা দুই পেজে ভাগ করে দিতে হবে। যাতে পাঠক প্রথম ক্লিকে মূল সংবাদে গিয়ে অর্ধেক সংবাদ পড়ার পর দ্বিতীয় ক্লিকে গিয়ে পুরো সংবাদ পড়তে পারেন৷ আবার কেউ চ্টগ্রামের সংবাদ পড়তে চান ৷ পাঠক এক ক্লিকে ওয়েবসাইটে ঢুকবেন এবং জেলা বা বিভাগে বা অন্য কোনো নামের সেকশনে থাকা চট্টগ্রাম জেলার সেকশনে দ্বিতীয় ক্লিক করে ওই জোলাসংক্রান্ত সব তথ্য পাবেন৷ চট্টমান জেলাতেও যদি আরও কয়েকটি সেকশন থাকে, তাহলে বেশি ক্লিক হয়ে যাবে, এতে পাঠক বিরক্ত হতে পারেন ৷ বেশি তলে তৃতীয় ক্লিক পর্যন্ত রাখা যেতে পারে৷ অবশ্য অনেকে থ্রি ক্লিককে স্বতঃসিদ্ধ ও প্রমাণিত কোনো নিয়ম হিসেবে মানতে চান না।

ওয়েবসাইট ফাস্ট লোডিং করুন। একজন ভিজিটর একটি ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য সাধারণত ৩ সেকেন্ড সময় নেয়। ওয়েবসাইট স্লো হলে ভিজিটর থাকবেনা।

time stamp(টাইম স্ট্যাম্প): ওয়েবসাইটের যে স্থানে দিন, তারিখ, তথ্য প্রকাশের সময়, হালনাগাদকরণের সময় প্রভৃতি লেখা থাকে, তাকে টাইম স্ট্যাম্প বলে।

user(ইউজার): ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীদের ইউজার নামে ডাকা হয়। তাদের ওয়েব ইউজার নামেও অভিহিত করা হয়। ইউজার বলতে মূলত ওয়েবসাইট ব্যবহারকারী পাঠক, দর্শক বা শ্রোতাকে বুঝানো হয়।

url(ইউআরএল): শব্দটির পূর্ণরূপ (uniform resource locator)। এটি হচ্ছে, ওয়েবসাইটের ঠিকানা, যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের সন্ধান পাওয়া যায়। যেমন: www.bbc.com হচ্ছে বিবিসির ওয়েবসাইটের ইউআরএল।

Virtual gateway(ভার্চ্যয়াল গেটওয়ে): অনলাইন নিউজ পোর্টাল বা ওয়েবসাইটের বিভিন্ন আধেয়র শিরোনামকে ভার্চুয়াল গেটওয়ে বলা হয়। কারণ, এর মাধ্যমে পাঠক-দর্শক সংবাদ বা আধেয়তে প্রবেশ করতে পারে। 

Visual hierarchy(ভিজ্যুয়াল ক্রমধারা): ওয়েবসাইটে গুরুত্বের ভিডিয ক্রমানুসারে লিংকস ব্যান্ড না সেকশনগুলোকে ধারাবাহিকভাবে সাজানোকে ভিজ্মায়াল হাইয়ারারকি বলে৷ সংবাদের ধরন ও পাঠকের আধহের ভিড্তিতে এ গুরুত্ব নির্ধারিত হয়। সাধারণত রাজনীতি, দেশ, ত্রীড়া, অপরাধ, বিনোদন প্রভৃতির ব্যাপারে পাঠক আগ্রহ বেশি থাকে। তাই সাধারণ কোনো ওয়েবসাইটে ওই আঙ্গিকেই সেকশনগুলো বিন্যস্ত থাকে। 

Vlog(ভ্লগ): videolog এর সংক্ষিপ্ত রুপ। সাধারণ অর্থে ভিডিওর মাধ্যমে যে ব্লগিং করা হয়, তাকে ভ্লগ বলে।

Vodcast(ভডকাস্ট): ইন্টারনেটে নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মে অডিও ফরম্যাটে কোনো কিছু প্রকাশ করাকে বলে পডকাস্ট। আর সেই স্থলে অডিও না দিয়ে ভিডিও ব্যবহার করাকে ভডকাস্ট বলে।

 

বলে রাখা ভালো, এবিষয়ে আমি এক্সপার্ট বা বিশেষজ্ঞ নই। পেশার খাতিরে নিরন্তর জানার চেষ্টা করছি মাত্র। লেখার প্রয়োজনে বিভিন্ন বই, পত্রিকা ও ব্লগ পড়েছি, নোট করেছি। এসব সেসবেরই যোগফল বা একত্রীকরণ। 

 



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top