গণঅধিকার পরিষদের তরুণ প্রার্থীর বার্ষিক আয় ‘হাজার কোটি টাকা’
নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাঠে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হওয়ার আগেই বরিশালের একটি সংসদীয় আসনে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়নপ্রত্যাশী এক তরুণ প্রবাসী। দলীয় মনোনয়ন পেতে আবেদনে নিজের বার্ষিক আয় প্রায় এক হাজার কোটি টাকা উল্লেখ করায় তাকে ঘিরে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।
বরিশাল-৩ (মুলাদী-বাবুগঞ্জ) আসন থেকে গণঅধিকার পরিষদের ট্রাক প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ইতালি প্রবাসী ইয়ামিন এইচ এম ফারদিন। বয়স মাত্র ৩২ বছর হলেও তার দেখানো বিপুল আয়ের উৎস নিয়ে স্থানীয়ভাবে নানা প্রশ্ন উঠেছে। কেউ কেউ প্রবাসে তার কথিত বৈধ কিংবা অবৈধ ব্যবসার বিষয়ে অনুসন্ধানের দাবিও তুলেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইয়ামিন এইচ এম ফারদিন মুলাদী উপজেলার পশ্চিম নাজিরপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি আমির হোসেন হাওলাদার ও মোসা. মমতাজ বেগম দম্পতির পাঁচ সন্তানের মধ্যে জ্যেষ্ঠ। গণঅধিকার পরিষদের সহযোগী সংগঠন প্রবাসী অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং ইতালি শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ অক্টোবর গণঅধিকার পরিষদের নির্ধারিত ফরম পূরণ করে বরিশাল-৩ আসনে প্রাথমিক মনোনয়ন আবেদন জমা দেন ফারদিন। ওই আবেদনে নিজের পেশা ব্যবসায়ী উল্লেখ করে বার্ষিক আয়ের ঘরে তিনি লিখেছেন ‘প্রায় এক হাজার কোটি টাকা’। তবে কী ধরনের ব্যবসা থেকে এ আয়, তা আবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।
এ বিষয়ে কালবেলার সঙ্গে আলাপকালে ইয়ামিন এইচ এম ফারদিন বলেন, তিনি দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে ইতালিতে বসবাস করছেন। সেখানে রেস্টুরেন্ট, এয়ার ট্রাভেল এবং মানি ট্রান্সমিশনসহ বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। তার বাবা গ্রামে ধান-চালের ব্যবসা করেন এবং পরিবারের নামে কৃষিজমিও রয়েছে।
তবে মনোনয়ন আবেদনে উল্লেখ করা প্রায় এক হাজার কোটি টাকা বার্ষিক আয়ের তথ্য সঠিক নয় বলে দাবি করেন তিনি। ফারদিন বলেন, ‘ভুলবশত এমন তথ্য উল্লেখ করা হয়েছিল। পরে আবেদন সংশোধন করে জমা দেওয়া হয়েছে।’ যদিও সংশোধিত আবেদনপত্রের কোনো কপি তিনি দেখাতে পারেননি। তার ভাষ্য, সংশোধনের সময় তিনি দেশে না থাকায় অন্য মাধ্যমে আবেদন জমা দেওয়া হয় এবং সেটি পরে সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়নি।
প্রবাসে পরিচালিত ব্যবসা থেকে প্রকৃতপক্ষে তার বার্ষিক আয় কত—এ প্রশ্নেরও সুনির্দিষ্ট উত্তর দিতে পারেননি ফারদিন। তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে আয়-ব্যয়ের পূর্ণাঙ্গ হিসাব জমা দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, আজ সোমবার বরিশাল-৩ আসনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী হিসেবে ইয়ামিন এইচ এম ফারদিন মনোনয়নপত্র দাখিল করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে মনোনয়ন আবেদনে দেখানো বিপুল আয়ের তথ্য নিয়ে আলোচনা এখনো থামেনি।
এনএফ৭১/ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।