বড় হারের পরপরই টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়লেন শান্ত
Nasir Uddin | প্রকাশিত: ২৮ জুন ২০২৫, ১৫:২৩

কলম্বো টেস্ট শুরুর আগেই গুঞ্জন ছিল নেতৃত্ব ছাড়তে পারেন নাজমুল হোসেন শান্ত। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় তথা শেষ টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হারের পর সেই গুঞ্জনে সিলমোহর পড়ল। বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়কের দায়িত্ব ছাড়লেন শান্ত। শনিবার (২৮ জুন) ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
টেস্টের নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে শান্ত বলেন, ‘আমার একটা ঘোষণা ছিল আমি বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়কত্বের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিচ্ছি। আমি টেস্ট ফরম্যাটে আর অধিনায়কত্ব চালিয়ে যেতে চাই না।’
দলের ভালোর জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জানিয়ে শান্ত বলেন, ‘আমি একটা জিনিস সবাইকে ক্লিয়ারলি মেসেজটা দিতে চাই যে, এটা কোনো পারসোনাল (ব্যক্তিগত) কিছু না। এটা দলের ভালোর জন্যই এই সিদ্ধান্তটা নেওয়া এবং এটাতে দলের ভালো কিছু হবে বলে আমি মনে করি। আমার ব্যক্তিগত মতামত যে তিন অধিনায়ক একটু ডিফিকাল্ট হতে পারে। পুরোটা দলের ভালোর জন্য আমি এখান থেকে সরে এসেছি।’
শান্তর টেস্ট দলের নেতৃত্ব ছাড়ার গুঞ্জন বেশ কিছু দিন ধরেই চলছিল। যার মূল কারণ, শ্রীলঙ্কার বিমান ধরার কয়েক ঘণ্টা আগে তাকে ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেয় বিসিবি। আর ওয়ানডের নতুন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
আর বিষয়টি শান্তকে জানিয়েই করেছে বলে জানা গিয়েছিল। যা সহজে মানতে পারেননি শান্ত। মুখে দলের প্রয়োজনের কথা বললেও হয়তো সেই অভিমান থেকে টেস্টে নেতৃত্ব ছাড়লেন তিনি।
সম্প্রতি ওয়ানডে ফরম্যাটের অধিনায়ক হিসেবে নাজমুল হোসেন শান্তকে সরিয়ে দেয় বিসিবি। তার জায়গায় এসেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। এর আগে শান্ত নিজেই টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন ব্যাটিংয়ে মনোযোগী হতে। সেইসময় বোর্ডকেও জানিয়েছিলেন, তিনি টেস্ট ও ওয়ানডে দল চালাতে চান।
বোর্ড সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল পরবর্তীতে বলেছিলেন, শান্তর অধিনায়কত্ব (ওয়ানডে) কেড়ে নেওয়া হয়নি। বরং বোর্ডের সবার সম্মতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমনকি শান্ত নিজেও খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতায় এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন বলে উল্লেখ করেছিলেন বোর্ড সভাপতি।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।