যে সময় নামাজ আদায় করা যাবে না
ধর্ম ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:২০
ইসলামে মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে আল্লাহতায়ালার ইবাদতের জন্য। ইবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম হলো নামাজ। প্রত্যেক মুসলমানের ওপর নামাজ ফরজ করা হয়েছে। কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, “আর তোমরা আমার স্মরণোদ্দেশ্যে নামাজ কায়েম করো।” (সুরা ত্বহা : ১৪)
অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, “তুমি সূর্য হেলার সময় থেকে রাতের অন্ধকার পর্যন্ত নামাজ কায়েম কর এবং ফজরের নামাজ (কায়েম কর)। নিশ্চয়ই ফজরের নামাজে সমাবেশ ঘটে।” (সুরা বনি ইসরাঈল : ৭৮)
রাব্বুল আলামিন আরও বলেছেন, “নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে।” (সুরা আনকাবুত : ৪৫) অর্থাৎ, প্রকৃত নামাজি ব্যক্তি সব ধরনের অশ্লীলতা ও অনৈতিকতা থেকে নিজেকে দূরে রাখেন।
হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, “ফরজ নামাজের ঘাটতি থাকলে নফল নামাজ তা পূরণ করে দেয়। তাই তোমরা বেশি বেশি নফল নামাজ পড়।” (আবু দাউদ : ৮৬৪) ফরজ নামাজের নির্দিষ্ট রাকাত সংখ্যা এবং সময় রয়েছে। তবে নফল নামাজের নির্দিষ্ট কোনো রাকাত সংখ্যা নেই এবং সময়ও অনির্ধারিত।
যদিও নফল নামাজে স্বাধীনতা রয়েছে, কিন্তু দিনের কিছু সময় এটি পড়া অপছন্দনীয়। বিশেষত তিনটি সময়ে নামাজ পড়া একদম নিষিদ্ধ:
সূর্যোদয়ের সময়:
সূর্য উঠা শুরু থেকে হলুদ আলো পুরোপুরি চলে যাওয়া পর্যন্ত সময়। ফকিহরা গণনা করেছেন, প্রায় ২০ মিনিট পর্যন্ত নামাজ নিষিদ্ধ।
সূর্য যখন মধ্যাকাশে থাকে:
এ সময়কে আরবি ভাষায় ‘জাওয়াল’ বলা হয়। সূর্য ঠিক মাথার উপরে থাকাকালে সব ধরনের নামাজ এবং সেজদা করা নিষিদ্ধ। জোহরের ওয়াক্ত শুরু হয় সূর্য হেলে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে। ফকিহরা সূর্য মাথার উপরে ওঠার পাঁচ মিনিট আগে এবং পাঁচ মিনিট পর পর্যন্ত সতর্কতাবশত নামাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
সূর্যাস্তের সময়:
সূর্য ডুবতে শুরু করলে হোলুদ বর্ণ ধারণের সময় থেকে রাত পর্যন্ত নামাজ নিষিদ্ধ।
মাওলানা ইউসুফ লুধিয়ানাভী (রহ.) বলেন, এই তিন সময়ের মধ্যে জানাজার নামাজ পড়া এবং মৃতকে দাফন করাও নিষিদ্ধ। তবে জরুরি প্রয়োজনে মৃতকে দাফন করতে হলে জানাজা পড়ে দাফন করার অনুমতি রয়েছে।
নামাজের নিয়মকানুন মেনে চলা মুসলিম জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি কেবল আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করে না, বরং দৈনন্দিন জীবনে নৈতিকতা ও আধ্যাত্মিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করে।
নিফ্লা৭১/ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।