মুসলমানদের অন্যতম আবেগের স্থান জাবালে সুর বা সাওর পর্বত

ডেস্ক রিপোর্ট | প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৩:৫৪

সাওর পর্বত এলাকায় আজও দেখা যায় সেই কবুতরের বংশধর

জুনায়েদ আলী সাকী, মক্কা থেকে ফিরে।

মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেসব জায়গায় অবস্থান করেছেন বা যেসব পথ দিয়ে চলাফেরা করেছেন, তার সবই ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে খুবই আবেগ ও শ্রদ্ধার। এমনই এক স্থান জাবালে সুর বা সাওর পর্বত। কারণ এতে আছে গারে সাওর বা সাওর গুহা। এটি একটি পাহাড়। ইংরেজিতে এর নাম Mount Bull বা Jabal hawr।

পর্বতটি নবী প্রেমীদের কাছে খুবই আবেগের। মক্কার নেতারা হত্যার ষড়যন্ত্র করলে হিজরতের উদ্দেশ্যে মদীনায় যাত্রা করেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম। হিজরতের শুরুতে তিনি আশ্রয় নেন সাওর পর্বতের গুহায়। সাথে ছিলেন ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু।

সাওর পর্বতটি মক্কা থেকে কিছুটা দূরে মিসফালাহ জেলার দক্ষিণে অবস্থিত। এর উচ্চতা ৭’শ ৫০ মিটারের বেশি। মসজিদুল হারম থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে সাওর পর্বত বা গারে সাওর। তখনকার প্রায় ৫’শ কিলোমিটার দূরের পথ মদীনা’র অবস্থান ছিল মক্কার উত্তরে। অথচ নবীজী গিয়েছিলেন দক্ষিণে। এতেই বুঝা যায় তিনি কৌশল অবলম্বন করেছিলেন।

মহান খোদা তায়ালার ইচ্ছায় গারে সাওর অর্থাৎ সাওর পর্বত গুহার মুখে বাসা বেঁধেছিল কবুতর। মাকড়সা জাল বুনেছিল, যেন বাইরে থেকে মানুষের উপস্থিতি কেউ বুঝতে না পারে। ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আজও দেখা যায় সেই কবুতরের বংশধরদেরকে। একারণে তাদের জন্য খাবার নিয়ে আসেন গারে সাওর দেখতে আসা ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

এনএফ৭১/জুআসা/২০২০



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top